শফিকুল ইসলাম সাফা, স্টাফ রিপোর্টার, চিতলমারী, বাগেরহাট

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার ইরি-বোরো চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটুও যেন দম ফেরাণোর ফুসরত নেই তাদের হাতে। বোরো রোপণের এখনই উপযুক্ত সময়। আর এ সময়কে কাজে লাগাতে তারা দিন রাত মাঠে কাজ করছে।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘেরের পাড়ে সবজি চাষের পাশাপাশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। বিগত বছওে গুলোতে নানা প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে চাষিরা টিকে আছে। এখানকার উৎপাদিত ধান, সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করা হচ্ছে। অনেকের মতে এখানকার চাষিরা কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশেষ করে সবজি ও বোরো চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন তারা। প্রতি বছর এ উপজেলায় কোটি কোটি টাকা উপার্জন হচ্ছে কৃষি কাজের মাধ্যমে।ফলে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন চাষিরা। বর্তমান ধান-চালের বাজারদর ভালো থাকায় বোরো চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। বাগেরহাট জেলার মধ্যে এখানে সব থেকে বেশি বোরো আবাদ করা হচ্ছে এ বছর।

শ্যামপাড়া গ্রামের বোরোচাষি নির্মল মÐল, মাধব বৈরাগী, সুরশাইলের অনুপ মÐল, শ্রীরামপুর গ্রামের প্রণব বালা, ইন্দ্রজিৎ মÐলসহ অসংখ্য কৃষক জানান, এ বছর চাষিদের মধ্যে ধান চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ধানের বাজারদর ভালো থাকায় তারা চাষাবাদে এগিয়ে আসছে। বিগত সময়ে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এ লোকসান পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা তাদের।

চিতলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সিফাত আল মারুফ জানান, বাগেরহাট জেলার মধ্যে এখানে সব থেকে বেশি বোরো আবাদ করা হচ্ছে। এ বছর উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে মোট ১২ হাজার ১শ, ৫৬ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপসি জাতের ১১০ হেক্টর ও উচ্চফলনশীল ১২হাজার ৪৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে চাষিদের বীজ, সার ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাঠে ঘুরে চাষিদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি চাষাবাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা বোরো চাষে আশানুরূপ ফসল এ বছর ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।