মোঃ সেলিম রেজা
গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার মূল নায়ক মুফতি হান্নানের আপন চাচা রাজাকার মৃতঃ আব্দুল লতিফ মুন্সির নামআসায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মুক্তিযোদ্ধা সহ কোটালীপাড়াবাসী।যাচাই বাচাই তালিকা বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুর রহমান।
জানাগেছে “একাত্তরের হেমায়েত বাহিনী ও আমার মুক্তিযুদ্ধ” লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হকের লিখিত বইয়ের ৬৬ নং পাতায় ১৩২ নং তালিকায় উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের মৃতঃ আব্দুর রশিদ মুন্সীর ছেলে মৃতঃ আব্দুল লতিফ মুন্সি সশস্ত্র অস্ত্রধারী রাজাকার ছিলেন। গত মাসে ১৫ ফ্রেব্রæয়ারী সেই রাজাকার মৃতঃ আব্দুল লতিফ মুন্সির নাম ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আসে। যার নং – উএও-১৯৮৫৭২ ও অনলাইন সিরিয়াল৫২২।
উল্লেখ্য ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়া কলেজ মাঠে ৭৬ কেজী বোমা পুতে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার
মূল আসামী মুফতি হান্নানের আপন চাচা মৃতঃ আব্দুল লতিফ মুন্সী তালিকা ভ‚ক্ত রাজাকার থাকা সত্তেও কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই
তালিকায় তার নাম আসলো এ প্রশ্ন মুক্তিযোদ্ধা সহ সকলের। মুক্তিযুদ্ধ যাচাই বাচাই কমিটির সভাপতি সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব লুৎফর রহমান শেখ বলেন, মৃতঃ আব্দুল লতিফ মুন্সীর নাম রাজাকার তালিকায় ছিলো কিনা আমার জানা নেই।
আমি অফিসে গিয়ে খবর নিয়ে দেখছি। মুক্তিযুদ্ধ যাচাই বাচাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন জানান, যাচাই বাচাইয়ের সময় কমিটির সদস্যরা সহ হল ভর্তি মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন । তখন কেউ বলেনি মৃতঃ আব্দুল লতিফ মুন্সী রাজাকার ছিলো। সকলের সম্মতিতে তার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দেওয়া হয়।