সোহেল রানা বাবু,বাগেরহাট প্রতিনিধি
মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে বাগেরহাট শহরতলীর মারিয়া পল্লীর হতদরিদ্র ১০ টি পরিবারের আশ্রয় স্হল সম্পূর্ণ লন্ডভন্ড হয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে। আরও আংশিক ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে ১৫টির মতো বসত ঘর।বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
ঘর চাপা পড়ে কমবেশী আহত হয়েছে কয়েকজন।স্ত্রী,শিশু সন্তান নিয়ে বিধ্বস্ত ঘরের পোতায় খোলা আকাশের নীচে শুরু করেছে মানবেতর জীবন যাপন।দ্রুত ঘর মেরামত এবং দুর্যোগ সহনীয় টেকশই ঘরের দাবী ক্ষতিগ্রস্হ হতদরিদ্র পরিবারগুলির। জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার।
৭ এপ্রিল রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাগেরহাটের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায় চারিদিক হটাৎ রাতের মতো অন্ধকার হয়ে গেলে মানুষ ভয়ে আতংকিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে,কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় কাল বৈশাখীর তান্ডব,বৃষ্টি ও বজ্রপাত। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের কাল বৈশাখীর তান্ডবে শহরতলীর হতদরিদ্র মারিয়া পল্লীর ১০ টি ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্হ হয়।দড়াটানা নদী তীরবর্তী হওয়ায় অনেকের ঘরের চালা উড়ে নদীতে পড়ে ভেসে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায় মাথাগোঁজার ঠাঁই এর লন্ডভন্ড অবস্হা নির্বাক ভাবে দেখছে ক্ষতিগ্রস্হ পরিবারের সদস্যরা।বিছানা,কাথা,ঘরে থাকা সামান্য খাবারদাবার বৃষ্টিতে ভিজে একাকার।তাদের দাবি একটাই ত্রান চাইনা,দুর্যোগ সহনীয় ঘর চাই।
এদিকে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে ক্ষতিগ্রস্হ হতদরিদ্র পরিবারগুলিকে সার্বিক সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অরবিন্দ বিশ্বাস।
জেলায় এই সময়ে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু, দেড় শতাধিক বসতঘর ও মৎস্য ঘেরের গৈ ঘর,বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিলবোর্ড ভেঙ্গে পড়ে যাত্রীবাহী একটি বাসের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।গাছপালা উপড়ে পড়ে ও বিদ্যুতের খুটি উপড়ে ও ভেঙ্গে যাওয়ায় এখনও অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সার্বিক পরিস্হিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।।