শরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
আসন্ন ঈদ উল আজাহার বাকী আছে ৪দিন এর মাঝে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট গুলি জমে উঠেছে। উপজেলার প্রতিটি পশুর হাটে কৃষক, খামারি ও ব্যাপারিরা দেশি বিদেশি সাইলো ফিজিয়ানসহ নানা জাতের গরু-ছাগল হাটে নিয়ে আসছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু-ছাগলের দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। এরপরও ক্রেতারা দাম শুনে বিভিন্ন হাট ঘুরে ঘুরে দেখছেন। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঘামারিরা।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। সোম,মঙ্গলবার উপজেলার লোহাগড়া, শিয়রবর,লাহুড়িয়া,দিঘলিয়া,ইতনা পশুর হাটে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি পশুর হাটে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতা কালু মিয়া বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে গরু-ছাগল মোটাতাজা করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। যদি গরুর দাম দেড় লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম ৮০ থেকে ৯০ হাজার আর যদি এক লাখ টাকা চায় তাহলে ক্রেতারা দাম বলেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যান।
গরু কিনতে আসা চর কালনা গ্রামের আব্দুল্লাহ-আল মারজান বলেন,ঈদের সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি।তবে তুলনামূলক ভাবে এবছর দামটা একটু বেশি।
লোহাগড়া হাটের ইজারাদার সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন বলেন,উপজেলায় বেশ কয়েকটি গরু-ছাগলের হাট রয়েছে। তবে আগামী কাল বৃহস্পতিবার লোহাগড়ায় সব চেয়ে বড় গরু-ছাগলের হাট বসবে। জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন প্রকার দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে সেগুলো ফলো করছি। জাল টাকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা,ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে এই হাটে।