নিজস্ব প্রতিবেদক নড়াইল
বাংলাদেশে ২৬ লক্ষ ভারতীয় চাকরি করে জানিয়ে অবিলম্বে তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে সেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে অর্šÍবতী সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান তিনি। ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এনপিপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। ফ্যাসিস্ট, খুনি, লুটেরা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণ চায়, ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিচার হোক। আমরা বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ভারতকে বলব, অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দিন। ভারত শেখ হাসিনাকে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে না।
তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতে আশ্রয় নেয়া বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং প্রশাসনের দলবাজ কর্মকর্তাদেরও ফেরত দেয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারত অভিন্ন নদীগুলোর গেইট খুলে দেয়ায় এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অবিলম্বে এসব গেইট বন্ধ করার আহ্বান জানান। এনপিপির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সাথে সম্পাদিত রেলসহ অসম চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। অর্ন্তবতী সরকারের উদ্দেশে ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আমরা সরকারকে কোনো সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছি না। তবে জনগণের কাঙ্ক্ষিত একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা রাষ্ট্রের কী কী সংস্কার করতে চান, অবিলম্বে সেটার একটি রোডম্যাপ প্রকাশ করুন। এটা দেশবাসীরও প্রত্যাশা।
এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায়ে আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সমমনা জোটভুক্ত গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মওলা চৌধুরী, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত, এনডিপির চেয়ারমান ক্বারী আবু তাহের, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনপিপির নবী চৌধুরী, মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট শেখ ফরিদ, লুৎফর রহমান, মো. মোজাফফর হোসেন প্রমুখ।