গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষককে ক্ষুরাঘাত করেছেন ছাত্রীর বাবা। আজ বুধবার বিকাল ৪ টায় পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সঞ্চরণ এডুকেশন কেয়ার নামক কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঐ কোচিং এর ছাত্রী নূরমনি কে পড়া না পারার অপরাধে তার শিক্ষক সত্যজিৎ বিশ্বাস ভৎসনা করলে সে ঐ শিক্ষকের সাখে উত্তেজিত ভাবে কথা বললে শিক্ষক সত্যজিৎ তাকে স্কেল দিয়ে মৃদু আঘাত করে। এতে সে সংক্ষুব্ধ হয়ে তার পিতাকে জানায়। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী নূরমনি উপজেলার শ্রীরামকান্দী গ্রামের শরিফুল শিকদারের কন্যা।
অতি আদরের কন্যা নূরমনির অভিযোগ শুনে বাবা কোচিং সেন্টারে এসে শিক্ষক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে গালিগালাজ করে এবং শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে চড়-থাপ্পড় দেয়।
পরবর্তীতে কোচিং এর পরিচালক সার্জিল আহমেদ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে একে অপরের সাথে বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সঞ্চরণ এডুকেশন কেয়ারের পরিচালক শিক্ষক সার্জিল আহমেদ (২৭) কে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করেন শিক্ষার্থীর বাবা।
এ সময় কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষক কে মারতে দেখে শরিফুল সিকদারকে ধাওয়া দেয়। পরে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তার মটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এদিকে আহত সার্জিল আহমেদকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সার্জিল আহমেদের বাড়ি উপজেলার গিমাডাঙ্গার গজালিয়া গ্রামে। তিনি গিমাডাঙ্গা নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল একেএম কালিমুল্লাহর ছেলে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডাঃ তৌহিদা বলেন, তার শরীরে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। এখন তার অবস্থা আশক্কামুক্ত।
ছাত্রীর মা নীলা তালুকদার বলেন, ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে গিয়েছে। আমার মেয়ের বাবা তার মেয়েকে শিক্ষক আঘাত করেছে এটা শুনে সহ্য করতে পারেনি। উক্ত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তন্ময় মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।