1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন

চিরকুটের সূত্র ধরে অপরাধীর মুখোশ উন্মোচন- কালিয়ায় চঞ্চল্যকর শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২১২ জন নিউজটি পড়েছেন।

মোঃ জিহাদুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার পাকুড়িয়া গ্রামে চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের শিশু হামিদা   হত্যাকাণ্ডের রহস্য  উদঘাটন ও ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে  পুলিশ। ৩ জানুয়ারী (শুক্রবার)  সন্ধ্যা ৬ টায় নড়াগাতী থানা কার্যালয়ে এক প্রেস রেফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওসি মোঃ শরিফুল ইসলাম।

প্রেস রিলিজে জানা যায়, গত বছরের ১৪ নভেম্বর  সন্ধার দিকে ধান ক্ষেত থেকে হাত পা বাঁধা শিশু হামিদার মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসি। এ ঘটনায় বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়। পরে নিহত হামিদার পিতা শাহানুর শেখে বাদী হয়ে প্রতিবেশী তোতা মিয়াসহ পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে নড়াগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অতঃপর চিরকুটের সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে নামে পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে নিহতের প্রতিবেশী স্কুল পড়ুয়া সুমি খানমের হাতের লেখার মিল পেয়ে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওঅ তথ্যমতে তার বাবা রবিউল ও মা ফরিদা বেগমকে পুটিমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আসামী ফরিদা বেগম ও রবিউলের বর্ণনা মতে,  নিহত হামিদার পরিবারের সাথে এজাহারভুক্ত আসামীদের পারিবারিক কলহ  ছিল। এছাড়া অপর প্রতিবেশী রবিউলদের সাথেও আসামী তোতা সিকদারদের পারিবারিক কলহ ছিল। এর জের ধরে তোতা সিকদার ও তার ছেলে ফেরদৌস রবিউল আর তার স্ত্রী ফরিদাকে মারধর করে। উক্ত মারধরের ঘটনায় রবিউলের পরিবারের মধ্যে রাগ ও ক্ষোভের জন্ম হয় এবং তারা প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনা মোতাবেক ফরিদা বেগম তার মেয়ে সুমিকে দিয়ে কিছু চিরকুট লেখায় ও ভিকটিম হামিদাদের বাড়ির আশপাশে আগুন দেয়। এই চিরকুট লেখা ও আগুন দেওয়ার বিষয়ে বারবার রবিউল ও তার পরিবারের সদস্যরা তোতার ছেলে ফেরদৌসকে দোষারোপ করে।  এক পর্যায়ে ঘটনার দিন  সন্ধার দিকে হামিদাকে একা পেয়ে মুখচেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে বস্তায় ভরে ধান ক্ষেতে রেখে আসে ফরিদা ও রবিউল ও মেয়ে সুমি খানম। যাতে কেউ সন্দেহ না করে তারজন্য রবিউল নিহত হামিদার বাবাকে সাথে নিয়ে ধান ক্ষেতের দিকে যায় এবং হামিদার মৃত দেহ দেখে সনাক্ত করে। উক্ত হত্যাকান্ডের দায় ভার তোতা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর চাপাতে রবিউল নিজেই মামলার সনাক্তকারী হন। অথচ পুলিশ তদন্তে সনাক্তকারীসহ তার স্ত্রী ও কন্যা মূল অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION