নিজস্ব প্রতিবেদক,নড়াইল
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় খামারিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাদের সেরা পশু প্রস্তুত করতে, তখনই নড়াইলে আলোচনায় এসেছে বিশালাকৃতির একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। নাম রাখা হয়েছে“ব্লাক ডায়মন্ড”।‘ব্লাক ডায়মন্ডের’এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ ফুট ও উচ্চতায় সাড়ে ৬ ফুট ওজন ৩৫ মন। দানবাকৃতির ষাঁড়টি দেখতে খামারে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। যত্ন আর পরিচর্যায় সন্তানের মতো লালন করা ষাঁড়টি বিক্রির জন্য দাম হাঁকাচ্ছে ১২ লাখ টাকা। “বø্যাক ডায়মন্ড কে খামার থেকে বের করতে হলে ২০ থেকে ২৫ জন লোকের দরকার পড়ে। কারণ শান্ত স্বভাবের ক্রস ফ্রিজিয়ান শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়টি কোন প্রকার ছাড়া পেলেই রীতিমতো তান্ড চালায়।
চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মিল্টন শিকদার জানান,খামারটি খোলামেলা পরিবেশ ও প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠেছে‘বø্যাক ডায়মন্ড’তার সঙ্গে একই খামাওে আরোও ৬০টি দেশি জাতের ষাঁড় লালন-পালন করা হয়েছে। নিয়ম করে তিন বার খাবারে দেওয়া হয় খামারির নিজস্ব জমির কাঁচা ঘাস,ভুট্টা, চিটাগুড়,খৈল,লবণ ও গম ভাঙা।
খামারের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা আব্দুর রহমান জানান, প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকার খাবার খায়‘ব্লাক ডায়মন্ড। তবে প্রতিদিন অন্তত তাকে দু’বার গোসল করানো হয়। আমরা পরিবারের সদস্য মনে করেই তাকে লালন-পালন করছি। এটি খুব শান্ত হলেও মাঝে মধ্যে সে অশান্ত হয়ে পড়ে।
নড়াইল প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর খামারিরা নড়াইলে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গবাদিপশু মোটা-তাজা করেছে ৫৪ হাজার ৫৮৫ টি। তার মধ্যে ষাঁড় ১৬ হাজার ৩৪৮ টি,বলদ দুই হাজার ৪০৩টি, গাভি চার হাজার ৪৬২টি, ছাগল ৩১ হাজার ৩০৭ ও ভেড়া ৪৫টি। জেলায় কোরবানি যোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ৫১৬ টি। পশু চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত থাকছে ১৪ হাজার ৬৯ টি,যা পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে রফতানি হবে।
নড়াইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান,সদর উপজেলার তারাপুরে চিত্রা অ্যাগ্রো খামারটিতে ১৪০০ কেজি ওজনের বড় একটি ষাঁড় আছে। খামারিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। জেলায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা বেশি হওয়ায় বড় গরু পালনে লোকজন কম আগ্রহী। জেলায় ছোট-বড় ১৫টি গরুর হাটে ভেটেনারি টিমের উপস্থিতিতে সুস্থ গরু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভোক্তার কাছে তুলে দিতে আমরা কাজ করছি।