বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বোরো চাষিরা মাঘের কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে চাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকার অধিকাংশ জমিতে ঘের কেটে মাছের চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া এসব ঘেরের পাড়ে সবজি চাষের পাশাপাশি এই মৌসুমে ঘেরের জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। বিগত বছরে নানা প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে চাষিরা টিকে আছে। এখানকার উৎপাদিত ধান,এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চাউলের মিলে চালান করা হচ্ছে।
এ উপজেলার কৃষরা বোরো চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন । প্রতি বছর এ উপজেলায় কোটি কোটি টাকা উপার্জন হচ্ছে কৃষি কাজের মাধ্যমে।ফলে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছেন চাষিরা। বর্তমান ধান-চালের বাজারদর ভালো থাকায় বোরো চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
শ্যামপাড়া গ্রামের বোরোচাষি নির্মল মÐল, বড়বাড়িয়া গ্রামের নাসির মোল্লা, সুরশাইলের অনুপ মÐল, শ্রীরামপুর গ্রামের প্রণব বালাসহ অসংখ্য কৃষক জানান, এ বছর চাষিদের মধ্যে ধান চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ধানের বাজারদর ভালো থাকায় তারা চাষাবাদে এগিয়ে আসছে। বিগত সময়ে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এ লোকসান পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা তাদের।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সিফাত আল মারুফ নবধারা কে বলেন, এ বছর উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নে মোট ১১ হাজার ৯ শ, ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল জাতের ১১ হাজার ৮ শ, ২০ হেক্টর ও উপসি ১শ, ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে চাষিদের বীজ, সার ও বিভিন্ন কৃষি উপকরণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মাঠে ঘুরে চাষিদের পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি চাষাবাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা বোরো চাষে আশানুরূপ ফসল এ বছর ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।