বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে অষ্টম শ্রেনীর (১৩) এক ছাত্রীকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে গেছে বাচ্চু মৃধা (৪৫) নামে ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের মৌলভী বাজার এলাকায় এঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে শুক্রবার ভোরে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে স্থানীয় সেরজন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। বাচ্চু মৃধা জিউধরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় রহমান মৃধার ছেলে। পলাতক শ্রমিকলীগ
নেতাকে আটকে একধিক টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
জিউধরা গ্রামের মৌলভী বাজার এলাকার কৃষক শেখ আব্দুল মালেক জানান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার মেয়ে ঘরে একা ছিল। রাত ২টার দিকে প্রতিবেশী ৫ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি বাচ্চু মৃধা কৌশলে ঘরে ঢুকে আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ে ডাক চিৎকার করলে ও বাঁধা দিলে বাচ্চু মৃধা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। শুক্রবার ভোরে পুলিশের সহায়তা নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
মোরেলগঞ্জ হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার ফাত্তাহ জানান শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত স্কুল শিক্ষার্থীর ডান হাঁটুর নিচে ও ডান হাতের ৩টি আঙ্গুলে গুরুতর কাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তার ডান হাটুর নিচে, ডান হাতের ৩টি আঙ্গুলে বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে। তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করা হবে।
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান নবধারা কে বলেন, ধর্ষণ করতে গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়ে পুলিশ ভোরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছে। হাসপাতালে ভর্তি করা সহ পুলিশ ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনেছে। এখনো কেউই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে, পুলিশের একাধিক টিম লম্পট বাচ্চু মৃধাকে আটক
করতে কাজ করছে।