রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনও করিলিরে ও বাঙালী,তোরা ঢাকা শহর রক্তে ভাসাইলী। এই গানের রচয়িতা বাগেরহাটের চারন কবি সামসুদ্দিন শেখ। ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে ঢাকাতে বসে এই গান রচনা করেন তিনি। তার এই গান অমর হয়ে থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে ভাষা সৈনিক হিসাবে এখনো নুন্যতম স্বীকৃতি পাননি।শুধু তাই নয় বর্তমানে এই কবির পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।
অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তার পরিবারের। বড় ছেলে খোকনের বয়স হলেও এখনো বয়স্ক ভাতা পাননি তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন আমরা তাদের পাশে আছি। বয়স্কভাতা প্রদানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পাকিস্তান শাসনামলে রাষ্ট্্রভাষা বাংলার দাবীতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালীর আন্দোলনে জনরোষে পরিনত হয়। এসময় ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের সময় পাক হানাদারের গুলিতে ঢাকার রাজপথে ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনার (২১শে ফেব্রুয়ারি) রাতেই বাগেরহাটের চারণ কবি শেখ সামছুদ্দিন আহমদ “রাষ্ট্রভাষা” নামে রচনা করেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম গানটি। কিন্ত ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পার হলেও ভাষা সৈনিক কবি সামসুদ্দিন এখেনো রাষ্ট্রীয় কোন স্বীকৃতি পাননি ভাষা সংগ্রামী হিসাবে। পরিবারকে তেমন কোন সহযোগীতাও করেনি সরকার। বরং আয় রোজগার করতে না পেরে রোগে শোকে অনাহারে আর অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি।বড় ছেলে বয়স্ক ভাতার যোগ্য হলেও পাননি কোন ভাতা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাশে থেকে বয়স্কভাতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
অনেক কষ্টে দিন কাটানোর কথা জানিয়ে বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন,খাবারইতো ঠিকমত খেতে পারিনা তা ডাক্তার দেখাবো কি করে।
কবির বড় ছেলে খোকন অসুস্থ থাকায় স্ত্রী শীরিনা বেগম সুপারী বিক্রি করে দিন কাটে। চারন কবির স্বীকৃতির পাশাপাশি পরিবারটিকে সকল সহযোগিতা প্রদানের দাবী এলাকাবাসীর।