“ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন” এই প্রতিপাদ্যে র্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণ সহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে বাগেরহাটে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। র্যালী শেষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে এসি লাহা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের উদ্যোগে পৃথক সভা হয়। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহেলা পারভিন ও ডিপিএফ সভাপতি বাবুল সরদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত উভয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
র্যালীতে জাতীয় মহিলা সংস্থা, টিআইবি, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন, সুপ্তি মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, উদয়ন বাংলাদেশ, বাদাবন সংঘ, অপরাজিতা নেটওয়ার্ক, রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন, নির্মান সমাজ উন্নয়ন সংস্থা, কর্মজীবী নারী, ক্রিষ্টিয়ান এইড সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি সহ সহস্রাধিক নারীরা অংশগ্রহন করেন। সভায় বক্তারা বলেন, মৌলবাদ ও দুর্নীতি নারীর অগ্রগতির পথে বড় অন্তরায়। যেহেতু ডিজিটাল প্রযুক্তি জেন্ডার নিরপেক্ষ, তাই জেন্ডার বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে নারীকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নারীর অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে হবে।
ডিপিএফ-এর সভায় বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: হাফিজ আল আসাদ,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা: অসীম কুমার সমাদ্দার, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপপরিচালক সাহেলা পারভীন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম রাসেল, স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: প্রদীপ কুমার বকসী, অধ্যক্ষ খোন্দকার আছিফ উদ্দিন রাখী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মুকিত ঝন্টু, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান এ্যাড: শরীফা হেমায়েত, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন, সমীর বরণ পাইক, মো: কামরুজ্জামান, এ্যাড: তামান্না রহমান শশী, টিআইবি-ইয়েস সদস্য শারমীন আক্তার পিয়া, ডা:দীপ্তি দাস, দলিত সম্প্রদায়ের নেতা টুম্পা দাস প্রমুখ। ডিপিএফ সম্পাদক এম.এ সালাম ও সদস্য তিথী দেবনাখের সঞ্চালনায় কীনোট পেপার উপস্থাপন করেন মঞ্জুরুল হাসান মিলন।