নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়নের খড়রিয়া গ্রামে রবিন মোন্ডল(৬৫) নামে এক সংখ্য লঘু পরিবারের জায়গায় জোরপূর্বক বাউন্ডারী ওয়াল নির্মান ও ঘর ওঠাতে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আমির হোসেন মোল্যার বিরুদ্ধে। জানা গেছে বছর খানেক আগে তাদের একটি গোয়াল ঘরও ভেঙ্গে দিয়েছে ওই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় ইউএনও কালিয়া বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রবিন মোন্ডল। তিনি ওই গ্রামের মৃত মনিন্দির মোন্ডলের ছেলে।
৮ মার্চ (বুধবার) সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী ও আশেপাশের প্রতিবেশীরা জানান, অনুমান ৩৫ বছর আগে রবিন মোন্ডল ওই ইউনিয়নের বদমতলা গ্রামের হাজী কুটি মিয়ার নিকট থেকে ১২ কাঠা জমি কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন। এক বছর পর একই মালিকের নিকট থেকে পুনরায় ৮৮ শতক জমি খরিদের আগে পূর্বের ১২ কাঠা জমি অভিযুক্ত আমির হোসেনের নিকট বিক্রি করে তার সীমানা বুঝিয়ে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই জমির ওপর দিয়ে সরকারী খাল হওয়ায় আমির হোসেন তার ৮৮ শতকের মধ্যে জমি দাবি করে রবিন মোন্ডলের লাগানো যাবতী গাছপালা বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেন। কোথাও অভিযোগ করলে প্রভাবশালী হওয়ায় ম্যানেজ করে নেয় সবাইকে। সাম্প্রতিক রবিন মোন্ডল নিজ জায়গায় ঘর তুলতে গেলে ওই পুলিশ সদস্য প্রশাসনের সহযোগীতা বাঁধা প্রদান করেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার শুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন সংখ্যালঘু পরিবার।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আমির হোসেনের বক্তব্য আনতে গেলে জানা যায় তিনি বাড়ীতে থাকেন না। খুলনার ফুলবাড়ী গেটে বসবাস করেন। মুঠোফেনে তার বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, আমার রবিনের বাড়ী পাশাপাশি। ওখানে রবিন মোন্ডলের ৫ শতক জমি আছে অথচ ১৭ শতক জমি সে ভোগদখল করে খাচ্ছে আমি কিছু বলিনি। কিন্তু আমার নামে কেস করায় আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এছাড়া ওই জমিতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ইউএনও কালিয়া মিসেস আফরিন জাহান অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ভুক্তভোগী পরিবারকে কাগজপত্রসহ অফিসে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন।