গোপালগঞ্জে ভেকুবাহী ট্রাকের সঙ্গে এ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখী সংঘর্ষে এ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ ৪ যাত্রী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ট্রাক-চালকসহ ৩ জন। বৃহষ্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ শহর-সংলগ্ন আরামবাগ এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন এ্যাম্বুলেন্সের চালক রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানার বোয়ালপাড়া এলাকার গুলজার খানের ছেলে মমিন (৪০) ও এ্যাম্বুলেন্সের হেলপার ফয়সাল (২৫)। খুলনা শীপইয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. সামচুল আলম, তার বাড়ি বরিশালে এবং ঢাকা মডার্ণ সাইক্রিয়েটিস্ট হাসপাতালের ওয়ার্ড-বয় জুয়েল হাসান (২৩), তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানায়।
দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন, ঢাকা মডার্ণ সাইক্রিয়েটিস্ট হাসপাতালের ম্যানেজার কামাল হোসেন (৪০) ও স্টাফ বায়েজিদ সিকদার (২৮) এবং ভেকুবাহী ট্রাকের চালক মোহম্মদ আলী শেখ (৬০)। তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে কামাল হোসেন ও বায়েজিদকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটি (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১-২২৪৭) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীতপাশের্^র বিপরীতগামী ভেকুবাহী ট্রাকের (গাজীপুর ট-১১-০০২১) সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষে এ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং দুটি যানই মহাসড়কের দু’পাশে খাদে গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই এ্যাম্বুলেন্সের ২ যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার-সার্ভিস সদস্যরা সেখান থেকে হতাহতদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে সেখানে আরও ২ জনের মৃত্যু ঘটে।
আরও জানা গেছে, খুলনা শীপইয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. সামচুল আলম খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা থেকে ঢাকা মডার্ণ সাইক্রিয়েটিস্ট হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল হাসপাতালেরই এ্যাম্বুলেন্সযোগে। পথিমধ্যে এ্যাম্বুলেন্সটি দূর্ঘটনায় পতিত হয় এবং তিনিসহ ওই চার যাত্রী মারা যান।
এদিকে, গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং আহতদেরকে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, দুপুর ১টার দিকে একই মহাসড়কে কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টারের সামনে একটি মোটরবাইক ও একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে মোটরবাইক-আরোহী আলামিন শরীফ (২৮) নিহত হয়েছেন। নিহত আলামিন ওই উপজেলার তারাইল গ্রামের পাঙ্খারচর এলাকার মোঃ ছলেমান শরীফের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলামিন শরীফ মোটরবাইকযোগে কাশিয়ানীর দিকে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মুখোমুখি জড়িয়ে যায় এবং দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আলামিনের মৃত্যু ঘটে।