Nabadhara
ঢাকারবিবার , ১৬ জুলাই ২০২৩
  1. Lead News
  2. Topnews
  3. Uncategorized1
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আন্তর্জাতিক
  7. ইতিহাস
  8. কৃষি
  9. খেলাধুলা
  10. গাইবান্ধা
  11. চাপাইনবাবগঞ্জ
  12. জাতীয়
  13. জামালপুর
  14. জেলার সংবাদ
  15. ঝালকাঠি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা পেতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ

Link Copied!

নামের সাথে বিজ্ঞান প্রযুক্তি থাকলেও প্রযুক্তির দৌড়ে পিছিয়ে আছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্র মেলেনা ওয়াইফাই সুবিধা, প্রতিষ্ঠানিক ইমেইলে পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় ডাটা স্পেস।

শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক সেমিস্টারে ২০০ টাকা হারে ইন্টারনেট বিল দিয়ে আসছে। তবে সন্তোষজনক ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই-এর অপ্রতুলতা তাদের একাডেমিক অগ্রগতি এবং গবেষণা কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অনেক শিক্ষার্থী হতাশা প্রকাশ করেছে। দেশ ও বিশ্বের বেশিরভাগ একাডেমিক সংস্থান, গবেষণা সামগ্রী এবং কোর্সের উপকরণগুলি এখন অনলাইন উপলব্ধ। তাই ওয়াইফাই-এর অভাবে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষামূলক সামগ্রীতে অ্যাক্সেস সীমিত করে দিয়েছে৷ এছাড়াও ইমেইলিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, প্রফেশনাল প্রোফাইল ব্যবহার এসব কাজে প্রতিনিয়ত অসুবিধায় ভুগছে বশেমুরবিপ্রবিয়ানরা।

ওয়াইফাই কানেকশন থাকা সত্বেও একাডেমিক কাজের প্রয়োজনও মিটছে না। এজন্য শিক্ষার্থীদের বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, লাইবেরি ক্যাফেটেরিয়া ও হল গুলোতে যথাযথ ওয়াইফাই সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। যেখানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা দেয়ার কথা শিক্ষার্থীদেরকে সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারেও অনুপযোগী স্পিডের সংযোগ দেয়া আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ইন্টারনেট সংযোগ একেবারেই নেই ক্যাম্পাসের শেখ রাসেল হলে। উক্ত হলের শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ফী দেয়ার পরেও পুরোপুরি সুবিধা বঞ্চিত। শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হায়দার হাবিব বলেন, “আমরাও বাকিদের মতো ওয়াইফাই বিল দিয়ে আসছি কিন্তু আমাদের হলের শিক্ষার্থীরা হলে কোন ওয়াইফাই কানেকশন পায় না। শুধু একাডেমিক ভবনে ওয়াইফাই কানেকশন পাওয়া যায় বাকি সময় আমাদের পড়ালেখা সহ বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হয় আমরা সেগুলো থেকে বঞ্চিত।”

একাডেমিক ভবনের প্রতিনিয়ত ক্লাস করা রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী বিদ্যুৎ সাহা বলেন, “আমরা সব ফ্লোরে ঠিক ভাবে ওয়াইফাই স্পিড পাইনা। বিভিন্ন বিভাগের ল্যাব ক্লাস সহ, টিউটোরিয়াল প্রদর্শনী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের প্রয়োজন হয় আমাদের। ওয়াইফাই স্পিড না পাওয়ায় আমরা মোবাইল ডাটা ইউজ করি, তবে একাডেমিক ভবনে ঠিকঠাক মোবাইল ডাটাও ব্যবহার করা যায় না।”

একইসাথে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সে হিসেবে এখানে ভালো ইন্টারনেট সুবিধা থাকাটা খুব জরুরি। কেননা আমাদের পড়াশোনার সবকিছু আমরা বইয়ে পাই না। তাছাড়া বইয়ে যা রয়েছে সেগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে। এজন্য আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিউটোরিয়াল নিতে হয়। কিন্তু মোবাইল ডাটার দাম বেশি হওয়ায় আমাদের আর্থিক ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদের বশেমুরবিপ্রবিতেও যদি ওয়াইফাই সুবিধা সঠিক ভাবে চালু করা হয় তবে শিক্ষা ও গবেষনায় আমাদের অনেক সুবিধা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “ইন্টারনেট সংযোগ সংক্রান্ত সরকারি সংস্থা বিডিরেনের সাথে আমাদের এবছরের বাৎসরিক চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে, খুব শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের গতির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

শেখ রাসেল হল এর ওয়াইফাই কানেকশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শেখ রাসেল হল যেহেতু নতুন হল তাই এ বছরের চুক্তির মধ্যে উক্ত হল সংযুক্ত নয়। এই হলের ইন্টারনেট চুক্তি হলের ভবন ঠিকাদার করবেন।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।