আয়েশা সিদ্দিকা, কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এ দেশের যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, বন্দর, শিল্প কারখানা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন করেছে। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামীলীগ এদেশের উন্নায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি জামায়াত এরা স¦াধীনতার শক্তিতে বিশ^াসী নয়,এরা স্বাধীনতার পর থেকে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে।২০০১ সালে বিএনপি জোর করে,অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে, টাকা দিয়ে ভোট কিনে ক্ষমতায় এসেছিল, আজ আর সেই দিন নেই,এটা আর আজ হবে। বিএনপি যা যা করতো এখন আর তারা তা করতে পরছে না। আমি চাই বিএনপি আমার সাথে নির্বাচন করুক ।২০১৮ সালে বিএনপির সালাম সাহেব আমার সাথে নির্বাচন করতে এসে ভোটের আগেই চলে গেছে। আমার কিছুই কতে হয়নাই জনগনই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, বন্দর, শিল্প কারখানা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উদীয়মান অর্থনীতিক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।কিন্তু বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী শেখ তন্ময় বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের শহীদ আসাদস্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে, বাধাল ইউনিয়নে বাধাল বাজারে ও বিলকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পথসভা সহ বিভিন্ন নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেছেন।
শেখ তন্ময় আরো বলেন, আমাদের সমস্য মাত্র একটি তা হলো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, এটা আমরা স্বীকার করি,এটা কি বিএনপি আসলে কি সব ঠিক হয়ে যাবে।যে দল জনগন বিদ্যুৎ এ্র দাবীতে ১৮জন মনুষকে হত্যা করেছিল। যে দল কৃষকরা সারের দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়েছিলো বলে সেদিন পুলিশ দিয়ে সাধারন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। সে দল দেশের দ্রব্য মুল্য কমিয়ে দিবে, সেদল দেশের উন্নয়ন করবে,সে দল গনতন্ত্র ফেরত দিবে।এদর জন্ম হয়নি গনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে,এরা রাজপথ এরা নতুন রাজপথে নেমেছে এই প্রথম।এদর জন্ম হয়েছে ক্যান্ট্যানমেন্টে, তবে ক্যান্ট্যানমেন্টে সবাই খারাব না। ক্যান্ট্যানমেন্টে কিছু দুষ্টু অফিসার ছিল সেসময়। এরুপ এক দুষ্টু অফিসার খুনি জিয়া, তার মাধ্যমে বিএনপির জন্ম। এখন রাজনীতি করতে এসে দেখে যে, এখন রাজনীতি করা যে কতো কঠিন তা এই বিএনপি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। বিএনপি এখন নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে।একারনে বিএনপি সংসদ মানে না,বিচার আদালত মানে না, সেনাবাহিনী মানে না,তারা এখন নির্বাচন কমিশন মানে না দেশের কোন প্রতিষ্ঠান তারা মানে না।এক সময় তারা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান দিয়ে দেশ চালাত, তারা এখন স্বাধীন ভাবে কাজ করছে। কোন এমপি মন্ত্রী ফোন দিলে তারা সে অনুযায়ী কাজ করতো। এখন আর সেদিন নেই। তারা সন্ত্রাস নৈরাজ্য করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়। আমরা জনগনকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো।এসময় তিনি আরও বলেন ৭ জানুয়ারীরী আনন্দ মুখর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে। দল মত নির্বিশেষে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আপনারা সবাই নৌকায় ভোট দেবেন।
এসময় কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়ার সহ সভাপতি ফরিদা আক্তার বানু লুসি, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এ্যাড: মো: ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠানিক সম্পাদক মীর ফজলে সাঈদ ডাবলু,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠানিক সম্পাদক নকীব নজিবুল হক নজু,বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্যে শেখ তন্ময় এর একান্ত সহকারী এইচএম শাহিন, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজমা সরোয়ার, কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এসএম শিকদার আবু বক্কার সিদ্দিক, আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সেখ সাখাওয়াত হোসেন,আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শিকদার কামরুল হাসান কচি,বাগেরহাট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জয়েসী আশরাফী জেমস,আওয়ামীলীগের সাংগঠানিক সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম,আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড: নওরোশুজ্জামান লালন,কচুয়া উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান,মঘিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাড: পঙ্কজ কান্তি অধিকারী, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম শোকরানা আজাদ হোসেন বালী,যুবলীগের আহবায়ক শেখ মনিরুজ্জামান ঝুমুর,যুগ্ম আহবায়ক সুজন দিদার,শ্রমিক লীগের সভাপতি খান শহিদুল ইসলাম,সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সুমন,তাঁতীলীগের সভাপতি শেখ শিরাজুল ইসলাম,মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি রিপন শিকদার,মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কাজল রানী মন্ডল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি তানিয়া আক্তার নাহার,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হাজরা ইসতিয়াক হোসেন বাহাদুর,ছাত্রলীগের অন্যান্য যুগ্ম আহবায়ক সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান,সাংবাদিক,উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের অন্যন্য সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সম্পাদক বৃন্দ।সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার দলের তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা।