’জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আজ ১২৩ তম জন্মদিন। তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবেও পরিচিত। ১৮৯৯ সালের ২৪ মে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পিতা কাজী ফকির আহম্মদ,মাতা জায়েদা খাতুন। কবির ডাক নাম ছিল দুখু মিয়া। কবির জীবন সংগ্রামের শুরু হয় ছোট বেলা থেকেই। রুটির দোকানে কাজ করতে করতে গান লিখতেন, গাইতেন, সাধারণ মানুষের মন কেড়ে নিতেন অল্প সময়ে।
কোনো ভাবে ষষ্ঠশ্রেনী পর্যন্ত লেখা পড়া করেছেন,কখনো লোটোর দলে গান গাইতেন,কখনো অভিনয় করতেন। দারিদ্রের কারনে কবি জীবনকে উপলব্দি করেছিলেন যন্ত্রনাময় পথে।তবুও দমে যায়নি।
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে সবাইকে অনুপ্রানিত করতেন
যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতেন। “তিনি শ্রমিক প্রজা স্বরাজ দল” সংগঠিত করেছিলেন।
“বিদ্রোহী” কবিতার জন্য তিনি অতি দ্রুত বিখ্যাত হয়ে গেলেন। ফ্যাসিবাদ আন্দোলনে তিনি সব সময় ব্রতী ছিলেন। সাম্যের কবি নজরুল সমাজের দুর্বল জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করে গান, কবিতা, নাটক রচনা করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি লেখা লেখির মাধ্যমে অংশগ্রহন করেন।প্রিয়তমা পত্নী প্রমিলা দেবী ছিলেন তার অনুপ্রেরণা। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েও স্বামীর পাশে ছিলেন সব সময়।
কবি,গীতিকার সুরকার, অভিনেতা, পরিচালক কবি একাই ছিলেন সব। তবুও সবাই কাজী নজরুলক কবি হিসেবেই চেনে।
কবির অনবদ্র সৃষ্টি চল্ চল্ চল্, বিদ্রোহী,দোলন চাঁপা,ধূমকেতু, অগ্নিবীনা,বিষের বাঁশি,ইত্যাদি।
তিনি শ্যামাসংগীত, গজল, ঠুমড়ী, টপ্পা নাটক সব লিখেছেন।৮০০ গান লিখেছেন জীবনের বিভিন্ন সময়ে পথ চলতে গিয়ে। যা কবিকে অমরত্ম দান করেছে।
আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭৫ সালে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিত্ব দেন। এটা আমাদের জন্য এক বিশাল গৌরবের।
সাম্যের কবি সারাজীবনের কৃতিত্বের জন্য বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৪৫ সালে জগত্ততারিনী স্বর্ণপদক,১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ১৯৭৬ সালে ২১ শে পদক, পদ্মভূষন পান।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মহাপ্রয়ান ঘটে। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে সমাধীস্থ করা হয়।
কবির ১২৩ তম জন্মদিনে নবধারা পরিবারের পক্ষ থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।