1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও একটাই পৃথিবী – আমরা ও আমাদের পরিবেশ

মেজবা রহমান,স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশিতঃ রবিবার, ৫ জুন, ২০২২
  • ৪০৫ জন নিউজটি পড়েছেন।

বিশ্ব পরিবেশ দিবস হল প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স শুরু হয়েছিল। এই কনফারেন্স হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি। এই কনফারেন্স ঐ বছরই চালু করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতি বৎসর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে। প্রতি বছরই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে, আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পালিত হয়।

গত বছরের কর্মসূচি ছিল ‘বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ যা চলবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ পুরো এক দশক ধরে চলবে গত বছরের কর্মযজ্ঞ। বাস্তুসংস্থান (ইকোলজি) অদৃশ্য ও দৃশ্যমান দুই ধরনের সুবিধাই আমাদের দিয়ে থাকে।
জীবনধারণের জন্য জল, খাবার, মসলা, কাপড়ের উপকরণ, আশ্রয়স্থল, ওষুধ ইত্যাদি থেকে শুরু করে জীবনদায়ী অক্সিজেন, কোটি কোটি মানুষের জীবিকার অবলম্বন, নবায়নযোগ্য শক্তি (সৌরশক্তি ও জলবিদ্যুৎ) উৎপাদন সবকিছুর মূলে রয়েছে এই বাস্তুতন্ত্র। বাংলাদেশে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ণের কারণে আমাদের প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্রগুলো দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, জাতীয় পর্যায়ে বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের বিষয় আমরা কম গুরুত্ব দিচ্ছি।
এবারের প্রতিপাদ্য এবং স্লোগান হল “প্রকৃতির ঐকটানে টেকসই জীবন”(Living Sustainability in Harmony with Nature) এবং “একটাই পৃথিবী” (Only One Earth)।
পৃথিবী বর্তমানে ত্রিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে দিন দিন
১। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্র বৃদ্ধি,
২। বাসস্থানের ক্ষতি এবং
৩। আনুমানিক ১ মিলিয়ন প্রজাতি বিলুপ্তির পথে
শুধু তাই নয় বর্তমানে আমার পানি এবং বায়ুও পুরোপুরি দূষনের সম্মুখিন। পৃথিবীতে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সামগ্রিক সমাধান প্রয়োজন । এবং টুকরো-টুকরো সমাধান পৃথিবীতে এসব সমস্যা নিরসন করতে পারেনি । তাই বর্তমানে টেকসই জীবনযাপন করা বিকল্প সমাধান হিসেবে আসতে পারে। এর জন্য আলাদা আলাদা করে প্রতিটি সংস্থা কিছু কাজ করতে পারে যেমনঃ
১। শুধুমাত্র সরকারই পারে ক্রস-সেক্টরাল ট্রান্সফরমেটিভ পরিবর্তন বাস্তবায়ন করতে। বৈশ্বিক, জাতীয় বা আঞ্চলিক স্তরেই হোক না কেন, সরকারই স্থায়িত্বের মূল চালক। ধারাবাহিক নীতি এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতাদের দ্বারা তাদের টেকসই বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
২। প্রকৃতির অবক্ষয় বন্ধ করতে এবং স্থলজ ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সরকারগুলিকে বিশ্বব্যাপী এবং জাতীয়ভাবে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে। অতীতের লক্ষ্যগুলি মিস করা হয়েছে, তাই নতুন লক্ষ্যগুলিকে শক্তিশালী কর্ম পরিকল্পনা এবং আর্থিক সহায়তা দ্বারা সমর্থন করতে হবে।
৩। জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কমতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট শূন্যে পৌঁছাতে হবে। প্যারিস চুক্তির অধীনে সমস্ত সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি বাড়ালে এবং নির্গমন কমাতে এখনই জোরালো পদক্ষেপ নিলে এটি করা সম্ভব।
৪। বিশ্বের ৮ বিলিয়ন মানুষের অর্ধেকেরও বেশি শহরাঞ্চলে বাস করে এবং শহরগুলি প্রায়ই অতিরিক্ত মানুষের ধাক্কা সহ্য করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌরসভা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সামাজিকভাবে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিলে এসব সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে ।
৫। শহুরে বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুন এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য বাসস্থান, তাপপ্রবাহ এবং বন্যার মতো হুমকি মোকাবেলা এবং শহরগুলিকে আরও বাসযোগ্য করে তুলতে শহুরে জলাভূমি এবং সবুজ করিডোরের মতো এলাকায় টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতি স্থাপন করা প্রয়োজন।
৬। স্থায়িত্ব অর্জনের জন্য অর্থের একটি বিশাল পরিবর্তন প্রয়োজন। শিল্পকারখানা গুলি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং দূষণকারী এবং গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি হ্রাস করে প্রকৃতির উপর চাপ কমাতে পারে। বিনিয়োগকে অবশ্যই এমন কার্যকলাপে প্রবাহিত করতে হবে যা প্রকৃতিকে মূল্য দেয় এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে সবার জন্য সমৃদ্ধি আনে।
৭। উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আরও দীর্ঘমেয়াদী, স্বল্প সুদে অর্থ প্রদান করা যাতে তারা এসডিজি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা, পরিষেবা, অবকাঠামো এবং মানব মূলধন তৈরি করতে পারে।
৮। ব্যবসায়ী নেতারা জাতিসংঘের যত্ন নেওয়ার জন্য জলবায়ু উদ্যোগে যোগ দিতে পারেন এবং জলবায়ু সংকট থামাতে এবং মানিয়ে নিতে তাদের অবদানকে শক্তিশালী করতে পারেন।
৯। জীবাশ্ম শক্তি ব্যবহার করে পরিবহন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন করে এবং এটি দূষণের একটি বড় উৎস। টেকসই পরিবহন এবং গতিশীলতায় স্থানান্তর করা স্বাস্থ্যকর সম্প্রদায় এবং একটি সুস্থ গ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতি পরিবর্তন করতে পারি না যদি না আমরা জানি কিভাবে হয়। পরবর্তী প্রজন্ম, যাদের পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে সবচেয়ে বেশি হারাতে হবে, তাদের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে, জরুরিভাবে জ্ঞান এবং সরঞ্জামের প্রয়োজন। এ কারণেই আমাদের অর্থনীতি ও সমাজ পরিবর্তনের প্রচেষ্টায় বিজ্ঞান ও শিক্ষা অপরিহার্য।

লেখক: মোঃ রাজিব হোসেন
বিভাগীয় প্রধান
পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়য়, গোপালগঞ্জ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION