মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া, (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়ায় নির্মানাধীন সেতুর অধিগ্রহনকৃত সম্পত্তি ও স্থাপনার ন্যায্যমূল্য চেয়ে উপজেলার পাচকাহুনিয়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধি ও উদ্যোক্তা হাবিবুর রহমান মুন্সী (১৭) শেখ হাসিনার কাছে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে গত ২১ এপ্রিল জমি ও স্থাপনার ন্যায্য মূল্য দাবি করে প্রতিবন্ধি হাবিবুর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবন্ধি হাবিবুর ওই গ্রামের মান্নান মুন্সীর ছেলে।
প্রতারক চাচার জালিয়াতির শিকার হাবিবুর তার অসহায় মাকে নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেননা বলে জানিয়েছেন। তার রেকর্ডিয় ৫ শতক জমিতে পাঁকা ঘরে সরকার অনুমদিত ৬ টি গরু নিয়ে একটি খামার (যার রেজিষ্ট্রেশন নং-নড়া/কালিয়া-সিডি ৬৬৬(২২৬) তারিখ-০৯/১২/২০২০) টিউবওয়েল, ছাদ আটানো দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাথরুমসহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ থাকা সত্ত্বেও তার চাচা শওকত মুন্সীর কারসাজিতে জমিটি সাদা দেখানো হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানান। ২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে অনুসন্ধানে গেলে হাবিবুরের পিতা মান্নান মুন্সী জানান, ৪১ নং কুলশুর মৌজার আরএস চুড়ান্ত ১২৮ নং খতিয়ানে আমার মা আমেনা খাতুনের নামে ৪৫ শতক জমি থেকে আমরা চার ভাই ও দু’বোন প্রাপ্য অংশহারে দলিল করে নেই। আমার অন্য দু’ভাই, দু’বোনের জমি দলিল মূলে খরিদ করে নেয়। আমি আমার প্রতিবন্ধি ছেলেটার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আমার অংশের ৭.৫০ শতাংশ থেকে ওই একই দলিলে অন্তর্ভূক্ত করে ৫ শতক জমির মালিকানা করি। যার দলিল নং- ১৫২২/১৫। আমার ২.৫০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত ২ রুম ও দুই বারান্দা বিশিষ্ট সেমিপাঁকা ঘর থাকায় ১৩ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা পেয়েছি, আমার অপর ভাই শাহাজাহান মুন্সী ১১ শতক জমির ওপর টিনের ঘর থাকায় পেয়েছে ২২ লক্ষ টাকা, জাকারিয়া মুন্সী ১৪ শতকের ওপর দালানঘর ও বাথরুম থাকায় পেয়েছে ৩৯ লক্ষ টাকা, শওকত মুন্সী ৭.৫ শতাংশ ধানী জমিতে পেয়েছেন ৭ লক্ষ। অথচ আমার প্রতিবন্ধি ছেলেটার ৫ শতক জমির ওপর রেজিষ্ট্রিকৃত একটি গরুর খামার, টিউবঅয়ের, বাথরুম, বিভিন্ন গাছপালা থাকা সত্ত্বেও সাদা দেখানোর অর্থ কী? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক আমার প্রতিবন্ধি ছেলেটাকে ন্যায্য মূল্য পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবন্ধি হাবিবুরের মা নাছরিন বেগম জানান, আমি আমার বড় ছেলে আজিজুর রহমান বাবুসহ আমার প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে জেলা কানুনগো অফিসে গেলে কানুনগো আমাদের সাথে অকথ্য ভাষায় কথা বলাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়েছেন এবং আমার কাছে কোন সমাধান নাই, পারলে তোমার দেবর (স্বামীর ভ্রাতা) এর কাছ থেকে সমাধান নেও। অফিস থেকে নীচে নেমে আমার ছেলে তার চাচা শওকত মুন্সীকে ফোন দিলে বলে (শওকত মুন্সী) এখনতো অল্প ক্ষতি করেছি সামনে বড় ক্ষতির জন্য অপেক্ষায় থাক।
নাছরিন বেগম আরো বলেন, শওকত মুন্সী ও কানুনগোর যোগসাজসে আমার প্রতিবন্ধি ছেলেটা তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমি তদন্তপূর্বক এদের সুষ্ঠ বিচার চাই এবং আমার ছেলের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জোর দাবি জানাই।