সরকার স্বীকৃত শরণার্থীদের জন্য সামাজিক সুবিধা ব্যাপকভাবে কমানোর পরিকল্পনা করছে গ্রিস। দেশটির অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আশ্রয় সুবিধার জন্য মোট বরাদ্দ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা হচ্ছে। এতে বার্ষিক খরচের পরিমাণ ৪০০ মিলিয়ন ইউরো থেকে কমে হচ্ছে ২৮৮ মিলিয়ন ইউরো।
হেলিওস আবাসন কর্মসূচিতে ভর্তুকি বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় শরণার্থীদের আবাসনের নিশ্চয়তা দিতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। এই সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সোমবার গ্রিসের অভিবাসন ও আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী থানোস প্লেভরিস এবং দেশটির গ্রোথফান্ডের নির্বাহী পরিচালক প্যানাগিওতিস স্ট্যাম্পুলিদিস অভিবাসন সংক্রান্ত পরিষেবা বিষয়ক একটি নতুন চুক্তিতে সই করেছেন। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হেলিওস আবাসন কর্মসূচির প্রসঙ্গে প্লেভরিস বলেন, আগে যে অর্থ ভাড়ার সহায়তা হিসেবে দেওয়া হতো, তা এখন পেশাগত প্রশিক্ষণ ও গ্রিক ভাষা শেখার কোর্সে ব্যয় করা হবে। তিনি বলেন, যারা গ্রিসে আশ্রয় চান, তাদের কাজের সুযোগ ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি দেওয়া হবে, ভর্তুকি নয়।
প্লেভরিস বলেন, এটাই আমাদের নীতি, যাকে গ্রিসে আশ্রয় দেওয়া হবে, তিনি আর ইউরোপীয় ও গ্রিক করদাতাদের ভর্তুকির উপর নির্ভর করবেন না। তাকে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে; ফলে বর্তমানে এথেন্স শহরের কেন্দ্রে থাকা বাসাগুলো বাজারে ছেড়ে দেওয়া হবে।
স্বাধীন আবাসন সুবিধাগুলো এথেন্সের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং যাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, তাদের আর্থিক সহায়তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাঠামোর আওতায় মৌলিক প্রয়োজন পূরণে সীমিত রাখা হবে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আশ্রয়প্রার্থীদের সহায়তা শুধু ‘অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন’ মেটানোর জন্যই সীমিত থাকবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানাননি তিনি।