নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার সাহাপাড়া গ্রামে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির জের ধরে দিঘলিয়ার সাহাপাড়ার গ্রামে বাড়ি, দোকান, মন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পরে পুলিশ অজ্ঞাত নামা ২০০ থেকে ২৫০ জনের নামে বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে নড়াইলের লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট মোঃ মোরশেদুুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাকফুর রহমান আসামীদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দিঘলিয়া গ্রামের মৃত ইসাহাক মৃধার ছেলে রাসেল মৃধা, চরমাউলী গ্রামের মৃত আজিজুল গাজীর ছেলে কবির গাজী, তালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে সাঈদ শেখ, বাটিকাবাড়ি গ্রামের কবির শেখের ছেলে রেজাউল শেখ ও বয়রা গ্রামের সাজেদুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহ । লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান সোমবার দুপুরে বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলায় দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দোকান, বাড়ি, মন্দির ভাংচুর ও বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গত রোববার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সৃষ্ট ঘটনার ভিডিও ফুটেজ যাচাই-বাছাই এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদলতে আবেদন করে। সোমবার(১৮ জুলাই) বিকালে নড়াইলের লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলম শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য গত ১৫ জুলাই উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র আকাশ সাহা ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করে পোষ্ট দেয়। বিষয়টি ওইদিন বিকালে বিভিন্ন পেশার মানুষের নজরে আসে। পরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহাকে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে ওই দিন সন্ধ্যায় দিঘলিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫-৬টি বাড়িঘর ও কয়েকটি দোকান ঘরসহ একটি পূজামন্ডপ ভাংচুর করে ও একটি মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একটি বাড়িতে আগুন দেয়।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন আছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।