বাগেরহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা,জেলার কয়েকটি হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু পরিক্ষার কিট। সিভিল সার্জন বলেছেন দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। জেলা প্রশাসক বলছেন আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোধে সবধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি।
সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে এ পর্যন্ত সারা জেলায় ৫৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে এ পর্যন্ত ২৬৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।অবস্হা সংকটাপন্ন হওয়ায় ২৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। কয়েকজন নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকীরা সুস্হ্য হয়ে ঘরে ফিরেছেন। শনাক্ত হওয়া রোগীরা বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগতেছিলাম হাসপাতালে এসে রক্ত টেষ্ট করে জানতে পারি ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভতি হই এখন শরীরের অবস্থা কিছুটা ভালো। শুধু ডেঙ্গু নয়, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে অন্যান্য রোগীও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সহস্রাধিক রোগী বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার বেশিরভাগ জ্বর সর্দিজনিত রোগে আক্রান্ত।
এদিকে ডেঙ্গু যাতে ছড়াতে না পারে সে লক্ষে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. অসিম কুমার সমাদ্দার বলেন, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে প্রায়ই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া দিনে সহাস্রাধিক রোগী বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার বেশিরভাগ জ্বর সর্দি জনিত রোগে আক্রান্ত ।
ডেঙ্গু যাতে জেলায় ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষে আমরা বিভিন্ন সভা সেমিনারে সচেতনতামূলক বক্তব্য দিচ্ছি। বাড়িঘর, বাজার ও রাস্তাঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।বললেন বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বললেন জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারী, বেসরকারী, ব্যক্তি উদ্যোগে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।।