গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ইসমাইল হাওলাদার নামে এক যুবককে (২৩) সালিশির কথা বলে ডেকে নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের চকামবাড়ি নয়াকান্দি ১২ নম্বর আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে । পুলিশ শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই ঘর থেকে ইসমাইলের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
করে মর্গে পাঠিয়েছে ।
স্থানীয়রা জানায়, মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের চকামবাড়ি নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল হাওলাদারের ছেলে ইসমাইল হাওলাদার (২৩) পাশের আশ্রায়ন প্রকল্পের ১২ নম্বর ঘরে বসবাসকারী পাতানো খালা ফিরোজা বেগমের ঘরে সবসময় যাতায়াত করতেন । এ সুবাদে খালা ফিরোজা বেগম ইসমাইলকে বিয়েও করিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই ইসমাইলের স্ত্রীর সাথে বনিবনা হচ্ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় খালা ফিরোজা বেগম ইসমাইলকে বাড়ি থেকে সালিশির কথা বলে ডেকে আনেন।
পুলিশ জানায়, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই ঘর থেকে ইসমাইলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করি ।
নিহতের মা চায়না বেগম জানায়, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আমার একমাত্র ছেলেকে সালিশির কথা বলে ডেকে আনে ফিরোজা
বেগম । পরবর্তী সময় আমার ছেলে রাতে ঘরে ফিরে না এলে শনিবার সকালে পাতানো খালা ফিরোজা বেগমের বাড়িতে গিয়ে আমার
ছেলের রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পাই । ওরা আমার ছেলেকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোঃ আশরাফুল আলম জানান, ইসমাইল নামে এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছি । হত্যার রহস্য
উদঘাটন করতে তদন্ত চলছে ।