আমি খুবই ভাগ্যবান, আপনারা আমাকে দায় মুক্ত করেছেন এর জন্য দেশের কাজ করতে পারি। আমাকে বার বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আমাকে মানব ডাল হিসেবে রক্ষা করেছেন। আমি আজকে জনসভা করছি, আমার জনসভার করার কোন দরকার হয় না। বহুদিন আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় না, করোনার সময় এসেছে কিন্তু সকলের সাথে সাক্ষাত করতে পারিনি। আমার কত ভাগ্য আমি সারা দেশের ৩০০ সিট দেখি কিন্তু আমাকে দেখেন আপনারা।
শনিবার দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি, তখন ওই বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। রেললাইনের ফিস প্লেট ফেলে দিয়ে, বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মা-সন্তানকে বুকে জড়িয়ে রেখেছে- এই অবস্থায় আগুনে পুড়ে কাঠ হয়ে গেছে। এই দৃশ্য পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছে। বাসে আগুন, গাড়িতে আগুন, ঠিক ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে শুরু করেছিল। এরপর ২০১৩-১৪ একই ঘটনা ঘটায়। এখন আবার অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। আমি ধিক্কার জানাই বিএনপি-জামায়াতকে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন,এদেশের মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না বিএনপি জামাত খুনিদের পার্টি। ইজরায়েল যেমন প্যালেস্টাইনদের, হাসপাতালে বোমা মারছেন শিশুদের হত্যা করছেন তারেক জিয়াও তাই করতেছে ।ঐই লন্ডনে বসে হুকুম দিয়ে এদেশের অসহায় মানুষদের দিনের পর দিন কষ্ট দিচ্ছে,অগ্নি সন্ত্রাস করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমার ছেলে-মেয়েদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ছোট্ট রেহানা, রেহানা আমার থেকে দশ বছরের ছোট। নিজের ছেলে মেয়ে এবং আমার ছেলে মেয়েকে মানুষের মতন মানুষ করেছে। রেহানা যদি আমার পাশে না থাকতো তাহলে বোধহয় আমি কোন কাজই করতে পারতাম না । কারণ আমার একমাত্র ভরসা ছিল আমার ছোট বোন রেহানা। সবশেষে টুঙ্গিপাড়া বাসী আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, মা-বোনদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারই আমার দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি কথাই বলব যে আপনারা আগামী সাতই জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই বিশ্বকে দেখাবেন এই নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ সুস্থভাবে নির্বাচন হয়েছে। একজন প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।
গতকাল শুক্রবার বরিশাল থেকে নির্বাচনী সভা শেষে সন্ধ্যা সাতটায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি।সন্ধ্যা ৭:০০ টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেই বিশ্রামে যান তিনি। আজ শনিবার সকালে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুনরায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেই গোপালগঞ্জে তার নির্বাচনী আসন গোপালগঞ্জ ৩ (টুঙ্গিপাড়া)নির্বাচনী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
এ সময়, শেখ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবির হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, গোপালগঞ্জ ২ আসনের নৌকার পদপ্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বাগেরহাট ১ আসনের নৌকা পদপ্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট ২ আসনের নৌকা পদপ্রার্থী শেখ সারহান নাসের তন্ময়সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এরপরে দুপুরে কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজে নির্বাচনী জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।