1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নেই

আবুল বাশার রিপন খলিফা
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৫৫৩ জন নিউজটি পড়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়  ২৯ শে জানুয়ারি ২০২৩।

এ নির্বাচনে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে নির্বাচন হয়।এই নির্বাচনের আগে নানা নির্বাচনী অঙ্গীকার করেছিলেন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সফল সদস্য।আমার যতটুকু মনে আর কিছু সংযোজনও থাকতে পারে যেমন ধরুন বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ চালু, উচ্চপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্ত পূরণ হওয়ার তারিখ থেকেই কার্যকরণ, অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রে পিএইচডি এবং সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীকে কমপক্ষে ২য় মাস্টার্স ডিগ্রি (বিদেশি)/ এমফিল/পিএইচ.ডি. ডিগ্রি বাতিলকরণ ,অস্থায়ী ও শিক্ষাছুটির বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য ইউজিসির মাধ্যমে নতুন পদ সৃষ্টি, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য সুদবিহীন ঋণ প্রদান এবং তহবিল গঠনসহ বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে মাসিক গবেষণা ভাতা প্রদান, গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার ও পদক প্রবর্তন, গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নাল) প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ, চৌর্যবৃত্তি চেক করার জন্য Turnitin Software-এ সকল শিক্ষকের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ।এছাড়া কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শিক্ষকদের গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা কার্যক্রমের গতিশীলতার লক্ষ্যে প্রত্যেক শিক্ষকের জন্য কম্পিউটার/ল্যাপটপ প্রদান নিশ্চিতকরণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ব্যবস্থা যুগোপযোগীকরণসহ সক্ষমতা ও গতি বৃদ্ধিকরণ, সরকারি বিধি অনুযায়ী সাধারণ ভবিষ্যত (জিপিএফ) এর লভ্যাংশ নির্ধারণ ও প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা প্রাপ্যতার তারিখ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকরকরণ, শিক্ষকদের স্বাস্থ্যবীমা পুনঃচালুকরণ, সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহ পুনরায় চালু, শিক্ষকদের জন্য আধুনিক মানসম্মত ক্লাব প্রতিষ্ঠা, চাকুরি স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলকরণ (প্রভাষক পদে নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন চালু রয়েছে), সকল রুটে পূর্ণাঙ্গ দ্বিতীয় শিফট এবং সান্ধ্যকালীন পরিবহণ সুবিধা পুনঃচালুকরণ এবং শিক্ষার্থীদেরও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ক্যাম্পাসের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণসহ নতুন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উন্নয়ন কাজকে ত্বরান্বিত করা ও আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন।

কিছুদিন পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে শিক্ষকদের ক্যান্টিন পুনরায় চালুকরণ ও লাউঞ্জ আধুনিকায়নে ৫০ লাখ টাকা অনুদান, প্রতি বিভাগে দু-জন শিক্ষককে সম্মানীসহ ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগকরণ, শিক্ষক ডরমিটরি আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিকরণ। এদিকে ইশতেহার ঘোষণার সময় নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদ এমনকি ডীন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান পদ না নেয়ার অঙ্গীকার করা হয়। তবে এটির ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন অনুষদের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে যোগদান করার উদাহরণও রহিয়াছে। এতে অনেক শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বর্তমান গঠিত নতুন কমিটি কাছে আমরা আশা করব যেন উপরোক্ত বিষয় গুলোকে বিবেচনা নেওয়া হয়।

বর্তমান সমিতি যেন জৌলুশ এর সাথে কাজ করে:
নানা কারণে সমিতি তার সুনামের ধারা অব্যহত রাখতে পারে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, সমিতি ক্রমেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অংশে পরিণত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ– যারা শিক্ষক সমিতির নেতা নির্বাচিত হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশরাই কোনো না কোনোভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।যারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়ে প্রশাসনের সাথে দরকষাকষি করবেন, খোদ তারাই যদি প্রশাসনের বিভিন্ন পদে আসীন থাকেন, তাহলে সমিতির কার্যক্রমে তার প্রভাব পড়বে।শিক্ষকদের ছুটি, বিদেশে উচ্চশিক্ষাসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে পেশাগত ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করেও অনেক সময় অনেক কাজে বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ দৃশ্যমান হয়।
শিক্ষিত মানুষের মধ্যে মানবীয় গুণাবলি আরও বেশি থাকার কথা।

আমরা মানুষ, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব, অন্যান্য প্রাণী বা সব কিছু থেকে আমাদের আলাদা করা হয় বিচার বুদ্ধির জন্য, বিবেকের জন্য। কিন্তু আমরা কি আমাদের বিচার-বুদ্ধি, বিবেককে কাজে লাগাচ্ছি বা লাগাই? আমাদের প্রতিদিন কী পরিমাণ নৈতিক স্খলন, বিবেকের স্খলন হচ্ছে তা আমরা ভেবে দেখি না। আমাদের কাছে থাকা মানবীয় গুণাবলি বিসর্জন দিচ্ছি প্রতিনিয়ত, হারিয়ে যাচ্ছে নীতি- নৈতিকতা, লোপ পাচ্ছে আমাদের ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা।একজন শিক্ষকের প্রতি আরেকজন শিক্ষকের সহমর্মিতা বিলীন হয়ে যাচ্ছে, প্রেম-ভালোবাসা ও দয়া-মায়া, ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে। আমরা কিন্তু মানবীয় গুণাবলি হারিয়ে ক্রমেই শিক্ষক হিসেবে নয়, ক্রমেই হিংস্র প্রাণীর মতো নিষ্ঠুর আচরণ করছি। এমন কেন হচ্ছে? সময়ের আবর্তনে সভ্য মানুষ হিসেবে আমাদের মধ্যে মানবতাবোধ যেখানে বৃদ্ধি পাবার কথা, সেখানে মানবতবোধ কমছে, প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। কিন্তু কেন? শিক্ষিত মানুষের মধ্যে মানবীয় গুণাবলি আরও বেশি থাকার কথা, তা কিন্তু এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। আজকাল প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হতে হয়, দৈনিক পত্রিকার পাতা উলটালেই নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।

ভিন্ন মতকে প্রাধান্য দেয়া:
ভালো-মন্দের বিচারক্ষমতা দ্বারা যে বিবেক নির্ধারিত হয় সে ব্যাপারে সকলেই একই বিন্দুতে থাকবেন নিঃসন্দেহে তা বলা সম্ভব, ভিন্ন বিন্দুতে থাকবেন ভালো-মন্দ আলাদা করা নিয়ে অর্থাৎ কোনটা ভালো ও কোনটা মন্দ সেটা নির্ধারণে ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে। এ ভিন্নতা হতে পারে ব্যক্তি, সমাজ, এলাকা, সময়, ঘটনা ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে। বিবেকের কাজ হলো কোনো কিছুর ভালো-মন্দ, সুবিধা-অসুবিধা, সক্ষমতা-অক্ষমতা, নীতির কাছে সঁপে দিয়ে বর্তমানকে ভিত্তি ধরে ভবিষ্যৎ ভাবনাকে বিচার করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষকসত্তাকে সহযোগিতা করা, কিন্তু আসল সিদ্ধান্তে আসতে হবে নিজেকেই। আমরা প্রত্যেকেই দশের শান্তির কথা বলি, মিলনের কথা বলি, উজ্জ্বলতার কথা বলি, নীতির কথা বলি, সত্যের কথা বলি, সাফল্যের কথা বলি এমনকি এসব কথা শুনতেও পছন্দ করি; কাজের বেলায়ও এসবের জন্য নিজেকে সঁপে দিতে ভালো লাগে, কিন্তু যখন দেখা যায়- দশের তুলনায় নিজের থলেটা তেমনভাবে পূর্ণ হচ্ছে না; তখনই বিবেক হয়ে ওঠে হিংস্র। আর যে শান্তি কিংবা অন্য ইতিবাচক কিছুর জন্য নিজেকে তুলে ধরা হয়েছিল, সেসব কিছু একটি অসুস্থ বিবেক এসে ঢেকে ফেলে।কিন্তু, আমরা কি বিবেক নিয়ে ভাবি? এখন আমরা ব্যস্ত আছি কে কতটা নীচে নামতে পারি সেই প্রতিযোগিতায়। কী পরিমাণ নৈতিক স্খলন হচ্ছে প্রতিদিন তা আমরা ভেবে দেখি না, জীবনযাত্রার দৌড়ে সবাই শামিল কে কাকে কীভাবে পেছনে ফেলে নিজে এগিয়ে যাবে তা নিয়েই ব্যতিব্যস্ত, বিবেকের স্খলন হচ্ছে তা আমাদের কাছে যেন কোনো ব্যাপারই নয়। আমাদের কাছে থাকা মানবীয় গুণাবলি বিসর্জন দিচ্ছি প্রতিনিয়ত, সম্পদ আহরণের জন্য, পদ পদবীর জন্য।
চারদিকে জিঘাংসা শিক্ষকদেরকে অন্ধ করে ফেলছে।
আমরা আবার সামনের দিকে ঘুরে দাঁড়াই, নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমাদের সুকুমার বৃত্তিগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে, নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করে আমাদের মনুষ্যত্ববোধকে জাগিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা মনোনিবেশ করি, আমরাই একটি সুন্দর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।

 

লেখক:সহযোগী অধ্যাপক,ফার্মেসি বিভাগ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION