শফিকুল ইসলাম সাফা, স্টাফ রিপোর্টার, চিতলমারী, বাগেরহাট
চিতলমারীতে ব্যাতিকর্মী বিনা লাভের দোকান চালু করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। এখানে সব পণ্যের দাম বাজার থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরছে ক্রেতাদের মধ্যে। বুধবার (৬ নভেম্বর) হাটের দিন। দুপুর থেকে সন্ধ্যা অব্দি একটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
দোকানটি উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের গেটের সামনে ‘বিনা লাভের’ দোকান। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মাদ্রসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দোকানটি খুলেছে। আর কম দামে পণ্য কিনতে পেরে এখানে আসা ক্রেতারাও বেশ খুশি।
সরেজমিনে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে সপ্তাহে দুইদিন (বুধ ও শনি) হাট বসে। তাই সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি ‘বিনা লাভের’ দোকান খোলা হয়। দোকানটিতে প্রতিকেজি মুসরির ডাল ১০৫ টাকা, ডিম হালি ৪৫ টাকা, চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, পেঁয়াজ (দেশী) প্রতি কেজি ১০৫ টাকা, রসুন প্রতিকেজি ২২০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ১১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
যা বাজারের অন্যান্য দোকানের চাইতে তুলনামুল কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ভোক্তারা দাবী করেন। এ ছাড়া দোকানটিতে পলিথিন বর্জন করে পরিবেশ বান্ধব থলেতে (ব্যাগে) পণ্য সরবারহ করা হয়।
পণ্য কিনতে আসা শাহাদাত খন্দকার, মানোয়ার হোসেন ও মোশারফ মোল্লা বলেন, ‘বিনা লাভের দোকানে আসলেই কম দামে পণ্য পেয়েছি। মালের গুনগত মানও অনেক ভাল। দূর থেকে আমাদের এখানে আসতে হলেও কম দামে মাল কিনতে পেরে আমরা খুশি।’
বিনা লাভের দোকানের আয়োজকদের মধ্যে দিদারুল ইসলাম, তানভির বিশ্বাস, শেখ হাসান, শিহাব মুন্সি, নাঈম মুন্সি, রাতুল শেখ, আব্দুল করিম শেখ, স্বর্ণা আক্তার, সাদিয়া আক্তার, মিষ্টি আক্তার, মৌ আক্তার ও লামিয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে চেষ্টা করছি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য। যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়।