নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইশ্বরদী ফিড মিলস নামের দেয়া মিথ্যা মামলা ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় পোলট্রী ফীড ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২৮-নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভূলতা ইউনিয়নের হাটাবো বাজার এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিসমিল্লাহ পোল্টি ফিডের মালিক আব্দুর রশিদ, ফয়সাল পোল্টি ফিডের মালিক আলাউদ্দিন, লিটন মিয়া, পাকুন্দার বাবু মিয়া, মদনপুরের খলিল মেম্বার,পূর্বাচলের আলাবক্স প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, ইশ্বরদী ফিড মিলস নামের পাবনা জেলার জনৈক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম খানের সঙ্গে পোল্টি ফিড ব্যবসায় জড়িত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও পূর্বাচল নতুন শহর এলাকার ৫ ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ী সম্পর্কের পর পন্য কেনাবেচার শর্তে হয় লেনাদেনা। সেই লেনাদেনায় মুনাফা হিসেবে কমিশন প্রাপ্ত হয় সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কথিত ইশ্বরদী ফিড মিলস কোম্পানী ওই কমিশন আত্নসাৎ করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিগত ৪ বছর ধরে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে রূপগঞ্জ থেকে পাবনা জেলা আদালতে মামলার হাজিরা দিতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন রূপগঞ্জের বাানিয়াদির ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ২০১৫ সাল থেকে ২৫ জুলাই ২০১৭ পর্যন্ত পাবনার ইশ্বরদী ফিড মিলস এর সঙ্গে ব্যবসা করে আসছিলেন। সেই ব্যবসায়ী লেনাদেনায় সবশেষ হিসেব অনুযায়ী তাদের নিকট ওই কোম্পানী সর্বসাকুল্যে পাওনা হয় ৫ লাখ টাকা । কিন্তু বিগত দিনে ব্যবসার মুনাফা হিসেবে তারা পাওনা হয় ৭ লাখ টাকা। ওই টাকা থেকে ৯৭ হাজার টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে কোম্পানী। তাতে বাকি ৬ লাখ ৩ হাজার টাকা পাওনা থাকে। এদিকে কোম্পানী দেউলিয়া হয়ে পড়লে ২০১৭ সালের পর ৪ এপ্রিল ২০১৮ ইং পর্যন্ত কোন পক্ষ যোগাযোগ করেনি কারো সাথে।
তবে একটি উকিল নোটিশ পাঠিয়ে উল্টো ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওনার অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের কাছে । যাতে পাবনার বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা করার নোটিশ করে। পরবর্তিতে ওই টাকা দাবী করে মামলাও দায়ের করে। যে মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ খরচ হয়ে যায় ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের। এভাবে ঝাঁকজমক ব্যবসায় এখন লোকসান গুনে অনেকটাই দিশেহারা তিনি।
আব্দুর রশিদ বলেন, রূপগঞ্জ থেকে পাবনার দূরত্ব ও পরিবহণ ব্যয় ছাড়াও গত ৪ বছরে আইনি লড়াইয়ে ব্যপক অর্থ খরচ হয়ে গেছে। অথচ আমার কমিশন না দিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। যার কারনে আমার পোল্টিফীড ব্যবসা বন্ধের পথে।
সূত্র জানায়, এভাবে আব্দুর রশিদসহ রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকার ফয়সাল পোল্টি ফিডের মালিক আলাউদ্দিন, লিটন, পাকুন্দার বাবু মিয়া,মদনপুরের খলিল মেম্বার,পূর্বাচলের আলাবক্সদের প্রাপ্ত কমিশন আত্নসাৎ করতে এমন বানোয়াট অভিযোগ তুলে দূর জেলা থেকে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছেন। এতে স্থানীয় পোল্টি ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে রয়েছেন। তবে ভুক্তভোগীরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম খান মুঠোফোনে বলেন,পাওনা টাকা পরিশোধ করতেই আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি ব্যবসায় লোকসান গুনেছি। তাই তাদের লাভের অংশ দেয়ায় প্রশ্নই আসে না।