1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

কাপাসিয়ায় ‘রানী ভবানীর দুর্গ’ আবিস্কার

সামসুল হক জুয়েল
  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২৮৬ জন নিউজটি পড়েছেন।

সামসুল হক জুয়েল, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর :

লোকমুখে গল্প প্রচলিত ছিলো , গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া গ্রামে রয়েছে ‘রানীর বাড়ি’। সেই মধ্যযুগের ইতিহাস এতদিন মানুষের মুখে মুখে থাকলেও, আজ বাস্তবে তার অস্তিত্ব মিলেছে । খনন শুরুর মাত্র ২২ দিনের মাথায় একদল গবেষক ‘রানীর বাড়ি’ বা রানী ভবানীর দুর্গ আবিষ্কার করেছেন। তাদের এ আবিস্কার মধ্যযুগের ইতিহাস বাস্তবে দেখার মানুষের যে বাসনা, তা পুরণে সহায়তা করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ গত ২৬ ডিসেম্বর দরদরিয়া দুর্গ বা রানীর বাড়ি প্রত্নস্থানটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা কাজ শুরু করেন। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা ও প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মধ্যযুগের ইট নির্মিত দুর্গ এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নতত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়। স্থানীয়দের মুখে ছড়িয়ে থাকা ইতিহাস হাতে ধরা দিয়েছে। খনন শুরুর পর থেকে বের হয়ে আসছে, প্রাচীন স্থাপত্যের বিভিন্ন ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নিদর্শন। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে, প্রাচীনকালে নিরাপত্তা কৌশল ও স্থাপত্য শৈলীর বিচক্ষণতার চিহ্ন।

প্রাচীন ইতিহাস হাতে ধরা দেয়ার এ বিষয়টি সবাইকে জানানোর জন্য শুক্রবার বিকালে দরদরিয়া দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণেnike air max 1 herren team red new balance gesunder gang nike suede vintage fön mit batterie amazon nike toddler girl shoes valla electrica para caballos new balance gesunder gang lacne smartwatch timsfors sofa ikea צמיד זהב ליולדת nike air max 720 nothern lights i am yours piano chords nike mercurial ronaldo 1998 blundstone max white shoes র লক্ষে প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

প্রেস কনফারেন্সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কাপাসিয়ার রানির বাড়ি বা দরদরিয়া দুর্গে খনন কাজ গত ২৬ ডিসেম্বর শুরু হয়। প্রাথমিক জরিপে দুর্গের আকার আকৃতি পরিমাপ করা হয়েছে। পূর্বদিকে অর্ধচন্দ্রের পরিধিব্যাপী পরিখা এবং পশ্চিমের দিকে রয়েছে বানার নদ। দুর্গটি প্রকৃতি এবং মানব সৃষ্ট এক দারুন কৌশলগত প্রতিরক্ষার কথা চিন্তা করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সমতল ভূমি থেকে মাটির নিচে ২ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ইটের গাঁথুনি দিয়ে নির্মিত দেয়ালের প্রশস্ত ৬৫ সেন্টিমিটার। প্রাচীরের উপরের অংশগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত রয়েছে। এটি মূলত একটি প্রতিরক্ষা দুর্গ হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, সামরিক দিক বিবেচনায় বুরুজটি খুবই কৌশলগত স্থাপনা। এর অংশ থেকে সহজে সোজা ডানে এবং বামে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল অর্থাৎ ঐ স্থান থেকে গোলা বারুদ বা তীর নিক্ষেপ করা যেতো। দুর্গের বাইরে যে পার্কটি রয়েছে, তা প্রায় দুই কিলোমিটার বিস্তৃত- যা গিয়ে নদীর সাথে মিশেছে। দুর্গটি সরলরেখায় কোথাও ১৪০০ মিটার প্রশস্ত, কোথাও ৪০ মিটার আর উচ্চতা পাঁচ মিটার। এই দুর্গটির চারপাশে বর্তমানে কৃষি জমি, চালা জমি রয়েছে। রয়েছে গজারি বন-জঙ্গল যা প্রায় ১৫ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত। দুর্গটি ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট দুর্গ, যা প্রাচীনকালে ছিল খুবই শক্তিশালী দুর্গ।

তিনি আরো বলেন, দ্বিস্তর বিশিষ্ট দুর্গ ভারতবর্ষে হাতে-গোনা মাত্র কয়েকটি। সেই হিসেবে দ্বিস্তর বা তিনস্তর বিশিষ্ট দরদরিয়া দুর্গ একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, বৈজ্ঞানিক ও ভূতত্ত্ব গবেষক জেমস টেলর তাঁর ঢাকার টপোগ্রাফি এবং পরিসংখ্যানের একটি স্কেচ (১৮৪০) বইয়ে তোগমা বা টোক শহর ব্রহ্মপুরে তীরে অবস্থিত বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, তোগমা বা টোক শহর রাজা শিপালের সময়ে বন্দর ছিল। বইটিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, কাপাসিয়ার দরদরিয়ায় বানার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। বলা হয়, দুর্গটি বানিয়া রাজা কর্তৃক নির্মিত। দুর্গটির বাইরের প্রাচীর মাটি দ্বারা নির্মিত। প্রাচীরের উচ্চতা ১২-১৪ ফুট। প্রাচীরের পরিধি প্রায় ২ মাইল এবং এর প্রস্থ প্রায় ৩০ ফুট। দুর্গের ৫টি প্রবেশদ্বার ছিল, তবে ইট বা পাথর নির্মিত প্রবেশদ্বার বা তোরণের কোন চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি। প্রাচীরটি অর্ধচন্দ্রাকার করে নির্মিত। এই প্রাচীরের কিছুটা দূরে আরেকটি প্রতিরক্ষা প্রাচীরের চিহ্ন রয়েছে। এটি ইট দিয়ে নির্মিত। অনুমান করা হয় যে, এই প্রাচীরে তিনটি প্রবেশদ্বার ছিল। দুর্গটি ‘রানির বাড়ি’ নামে পরিচিত। বলা হয়, বানিয়া রাজাদের শেষ বংশধর রানী ভবানী ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে মুসলিম অভিযানের সময় এই দুর্গে বসবাস করেছিলেন। জেমস টেলরের মতে, এটিই ঐতিহাসিক একডালা দুর্গ। বাংলার দ্বিতীয় স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ ১৩৫৩ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লীর সুলতান ফিরোজশাহ তুঘলক কতৃর্ক আক্রান্ত হলে একডালা দুর্গে আশ্রয় নেন। দিল্লীর সুলতান ফিরোজশাহ তুঘলক এ ২২ দিন অপেক্ষা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জন ইতিহাস ইনস্টিটিউটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. নূহ-উল আলম লেনিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION