1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ন

বশেমুরবিপ্রবিতে নিরাপত্তা চাইতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ছাত্রী

জেলা প্রতিনিধি,গোপালগঞ্জ
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২
  • ৪০৪ জন নিউজটি পড়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েল (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসনের নিকট নিরাপত্তা চেয়ে আবেদনের পর হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক সনাতন ধর্মালম্বী ছাত্রী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী  বিশ্ববিদ্যালয়টির শেখ রেহেনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, তিনি নিজ সিটের অংশে শ্রী কৃষ্ণের ছবি রাখতে গিয়ে কক্ষের অপর শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে পড়েন এবং বিভিন্ন সময় র‍্যাগিংসহ চলাফেরা ও পোশাক নিয়ে কটুক্তির শিকার হন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে হেনস্তা ও র‍্যাগিংয়ের জেরে প্রায় এক মাস আগে বিষয়টি হল প্রশাসনকে জানাই। কিন্তু এর জেরে আমাকে ৮ জনের রুম থেকে গণরুমে স্থানান্তর হতে বলা হয় এবং আমি যেখানে থাকতাম সেখানে অপর এক শিক্ষার্থীকে এলোটমেন্ট প্রদান করা হয়। গণরূমে এতজন শিক্ষার্থীর মাঝে ধর্ম নিয়ে আরও অধিক জটিলতার শঙ্কা থাকায় গত ২১ জুলাই পুনরায় প্রক্টর বরাবর সকল ঘটনা উল্লেখ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আবেদন জানাই।‘
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, পরবর্তীতে উপাচার্য দপ্তরের আশ্বাসের জেরে গত ২১ জুলাই আমি হল পরিবর্তনের জন্য লিখিত আবেদন জানাই এবং বিষয়টি রবিবার সমাধান করা হবে বলে জানানো হয়। হল পরিবর্তনের বিষয়টি শেখ রেহেনা হলের প্রভোস্ট স্যারকেও জানানো হয় এবং তিনি রবিবার পর্যন্ত ১০৯ নম্বর কক্ষে মালামাল রাখার অনুমতি প্রদান করেন। এর মাঝে ওই সিটের নতুন এলোটমেন্টপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাও তাদের মালামাল নিয়ে সিটে উঠেন। কিন্তু রবিবার আমি হল ত্যাগের পূর্বে আমাকে নিয়ে কিছু মিথ্যা অভিযোগ করা হয় যাদের মধ্যে ইতোপূর্বে আমাকে ধর্ম নিয়ে হেনস্তাকারী শিক্ষার্থীরাও ছিলো। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।‘
এদিকে অভিযোগকারীরা দাবি করেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই শিক্ষার্থী তাদের সাথে অসদাচরণ করেছেন, সিনিয়রদের অসম্মান করেছেন এবং ১০৯ নম্বর রুমে এলোটপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের  সিটে উঠতে বাঁধা দিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষমতার প্রয়োগমূলক কথা বলেছেন।’
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি ওই সিটে যতদিন ছিলাম প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ছিলাম এবং আপুদেরকেও সেটাই বলেছি। আর তারা অভিযোগ করেছেন ৩১ তারিখ কিন্তু আমি রুমে যাইনা ২৯ তারিখ থেকেই। এর মাঝে রুমে তারা তাদের মালামালও তুলেছে। মূলত অভিযোগটি আমাকে হেনস্তার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে। তবে তারা যাই করুক না কেনো আমার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, আমি মনে করি আজকের এই জটিলতার জন্য হল প্রশাসন দায়ী। কারণ শিক্ষার্থীদের মানসিকতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে কিন্তু হল কর্তৃপক্ষ চাইলেই বিগত একমাসে বিষয়টি সমাধান করতে পারতো।’
এ বিষয়ে হলটির প্রভোস্ট মো: রোকনুজ্জামানকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, ‘ভুক্তভোগী আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর আমি অভিযুক্তদের বিভাগের সভাপতির সাথে কথা বলেছি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেছে কিনা এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো অফিসিয়াল তথ্য নেই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION