নড়াইল-মাগুরা সড়কের হবখালি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা এলাকায় রাস্তার দুই পাশে থাকা লাখ লাখ টাকার গাছ অবৈধভাবে কর্তন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সুভাষ সাহা নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। সুভাষ সাহা ওই গ্রামের নরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় বছর খানেক আগে নড়াইল-মাগুরা সড়কের বাগডাঙ্গা সড়কের দুই পাশে থাকা কয়েক লাখ টাকার গাছ অবৈধভাবে কর্তন করেন সাবেক ইউপি সদস্য সুভাষ সাহা। এরপর বিভিন্ন সময়ে কৌশলে ওই গাছ বিক্রি নিজের কাছে টাকা রেখে দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন বাঁধার কারণে সব গাছ বিক্রি করতে না পারায় রাস্তার পাশে পড়ে থেকে কাঁটা গাছের অনেকাংশ নষ্ট হয়। গাছ বিক্রি করতে বিভিন্ন অফিসে দৌড়ঝাপও করেন তিনি। সম্প্রতি দেখা যায়, পড়ে থাকা সেই গাছের অংশ ফের বিক্রি শুরু করেছেন সুভাষ। এদিকে অবৈধভাবে গাছ কেঁটে বিক্রির ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে সুভাষ সাহার ছেলে তুষার সাংবাদিকদের উপর ক্ষেপে যান।
টেন্ডার ছাড়া গাছ কর্তনের কথা অকপটে স্বীকার করে সুভাষ সাহা বলেন, বন বিভাগ ও জেলা পরিষদের কথায় কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই তখন তিনি গাছ কাঁটতেন। পরবর্তীতে ৮৫ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করে সেই টাকা নিজের কাছে রেখেছেন তিনি।
উপকারভোগীদের ও ভূমির মালিকদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের ব্যাপারে সুভাষ বলেন, এ তালিকা বন বিভাগের করা। এদিকে বন বিভাগ বলছে, মেম্বর সুভাষ যে গাছ কেটেছেন বা উপকারভোগীদের তালিকার কথা বলছেন তা বনবিভাগের নিবন্ধিত নয়।
এ ব্যাপারে নড়াইল বন বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, বন বিভাগের সাথে চুক্তির কোন কাগজ-পত্র ওদের কাছে নেই। সুভাষ সাহা যে গাছ কেঁটে বিক্রি করছেন তা বন বিভাগের নিবন্ধিত নয়। সে যে তালিকার কথা বলছে তাও তাদের নিবন্ধনে নেই।
এ বিষয়ে নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ লুৎফার রহমান জানান, তিনি আসার আগে গাছগুলো কাঁটা হয়। গাছগুলো পূর্বের পরিষদ থাকতে কাঁটা হয়েছিল। কিভাবে কাঁটা হয়েছিল আমার জানা নেই। নতুন পরিষদ গঠন হলে প্রথম সভায় বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।