২৫ তারিখের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ ভাই পরাজিত হওয়ার পরে হৃদয়ে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননী নৌকা আঁকা শাড়ি পরে আজমত উল্লাহ ভাইয়ের লেখা বইটি গ্রহণ করেছেন। ছবিটি দেখার পর থেকে মনটা শান্তি পেয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এই ছবিটি অনেক অর্থবোধক।
যারা নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে বুকে নৌকার ব্যাচ পরে অন্য মার্কাকে ভোট দেয় এবং নৌকা ডুবিয়ে বিএনপি, জামায়াতের ভোটে বিজয়ী হয় তাদের আর কোনদিনও দলে স্থান দেওয়া উচিত নয়। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দেখেছিলাম সুবিধাবাদীরা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল আর অনেক বড়, বড় পদ ওয়ালা নেতারা সংস্কারবাদী হয়ে গিয়েছিল। আমি এখনও সেদিন দিন গুলো কে ভুলতে পারিনি।
সাব – কোর্টে আপার সারা শরীরে এলার্জি থেকে রক্ত বের হচ্ছিল এবং চোখ রক্তের মত লাল হয়ে গিয়েছিল। চোখ থেকে রক্ত বের হতো। আপা কে দেখে শুধু কান্না করতাম। সকাল ৯ টার আগেই সংসদ ভবনের অস্থায়ী সাব – কোর্টে আমরা প্রবেশ করতাম। প্রথম সারিতে বসতেন সিনিয়র আইনজীবীরা। দ্বিতীয় সারিতে তাদের সহযোগী আইনজীবীরা আর তৃতীয় সারিতে পরিবারের সদস্যরা।
যে বোনের আদর, স্নেহের বড় হয়েছি, যে বোন আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে টুঙ্গিপাড়ার মত অজপাড়া গাঁ থেকে নিয়ে এসে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরে দেশের স্বনামধন্য একমাত্র নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমসে ভর্তি করে দিয়েছিলেন, সব সময় আমার পড়াশোনার প্রতি তার নজর রেখেছিলেন। তারপর নিজের আপন খালাতো ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। রাজনীতিতে তার অনুমতি নিয়েই নেমেছিলাম। তিনিই আমাকে ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বানিয়েছেন। আমার এই জীবনে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। তিনিই আমার অভিভাবক। তার পরেই আমার ভাতিজা (বাবা) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আমি সারা জীবন এই দুজনের কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবো । মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সব সময় দোয়া করি তিনি যেন তাদের কে উত্তরোত্তর সাফল্য, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু দান করেন। আমিন।
শেখ মিলি
সভাপতি, ধানমন্ডি থানা মহিলা আওয়ামী লীগ।