চিতলমারীতে প্রচন্ড গরমে বেড়ে চলেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশী। চিতলমারী ৫০ শর্য্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ২০ বেডের অনুকুলে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। গত একসপ্তাহে ৭২জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিম সিম খাচ্ছে নার্স ও চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে শিশুও নানা বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন স্বাস্থ্র কমপ্লেক্্ের। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় বিকপ্ল উপয় বেডের সংখ্যার ব্যাবস্থা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বড়বাড়িয়া গ্রামের রাজিয়া বেগম তার ৮মাস বয়সী ছেলে রেহাব কে হাসপাতালে ৫দিন আগে ভর্তি করা হয়। তিনি বলে, প্রথমে বমি তারপর পাতলা পায়খানা শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। গত ৫দিন হাসপাতালে রয়েছে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। কলিগাতী গ্রাম থেকে আশা ডায়রিয়া আক্রান্ত ১১ মাসের রাকিশকে তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা একটু ভাল বলে জানান ওই শিশুর মা রোকেয়া বেগম। বারাশিয়া গ্রামের লায়লা বেগম (২৪) গতবুধবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার অবস্থা এখনো ভালনা বলে তার স্বামী দেলোয়ার জানান। চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা নিতে আশা বেশীর ভাগ ডায়রিয়া রোগীদের একই অবস্থা দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর মেডিকেল অফিসার ডাঃ এম,আর, ফরাজি বলেন,তীব্র তাপদাহের কারনে ডায়রিয়াসহ শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশী।সুপেয় পানিসহ তরল খাবার খাওয়ানো ও স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্প কর্মকর্তা ডাঃ মামুন হাসান জানান,আতংকিত হবারকারন নেই। হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগী বেশী আশায় বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। গত একসপ্তাহে ৭২ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশু । বৃহস্পপতিবার দুপুর পর্যন্ত ও ১৫জন রোগী ভর্তি রয়েছে। প্রচন্ড গরম ও অনাবৃষ্টি ও বিশুব্দ পানির অভাবে এ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে তিনি জানান। তবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য আইভি স্যালাইনসহ স্বাস্থ্য সেবার সব ধরনের ব্যাবস্থা রয়েছে।