প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে নড়াইলের ১৬টি পুরাকীর্তি পরিদর্শন করে গেলেন। শনিবার (২৪জুন) দিনব্যাপি এসব পূরাকীর্তি সরেজমিনে দেখেন। তিনি প্রথম অবস্থায় নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনার অন্যতম পুরাকীর্তি উপমহাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা. নীহাররঞ্জন গুপ্তের বাড়ি ও নড়াইল ভিক্টেরিয়া কলেজের গ্যালারি ভবন যথাযথ সংস্কার ও সংরক্ষণের আশ^াস দেন।
এদিন বিকেলে এ পুরাকীর্তি পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন,নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা-বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক লাভলী ইয়াসমীন,সহকারী পরিচালক মোঃ গোলাম ফেরদৌস,ইয়্যুত ৭১-এর পরিচালক হাফিজ খান মিলন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ হানিফ প্রমুখ।
প্রতœতত্ব অধিদপ্তর খুলনার আঞ্চলিক সহকারী পরিচালক মোঃ গোলাম ফেরদৌস জানান, নড়াইল জেলায় ১৬টি পুরাকীর্তি প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো হলো লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে জন্মগ্রহনকারী উপমহাদেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ডা. নীহাররঞ্জন গুপ্তের কারুকার্যখচিত বাড়ি, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাচীন ভবনসমূহ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত নৃত্য শিল্পী উদয় শংকর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সেতার বাদক ররি শংকর, কোটাকোল জোড়বাংলা মন্দির, শালনগর মন্দির গুচ্ছ, লোহাগড়ার জমিদার মনি বাবুর বাড়ি, নড়াইল হাটবাড়িয়া জমিদারবাড়ি, নড়াইল জমিদারদেও নির্মিত গোবিন্দ মন্দির, সদরের উজিরপুরের রাজা কেশব রায়ের বাড়ি, কথিত পাতাল ভেদি রাজার রাজবাড়ি ঢিবি, লোহাগড়ার পোদ্দার জমিদার বাড়ি, হযরত শাহ দেওয়ান ফয়জুল্লাহ (রহ.) মসজিদ, লোহাগড়ার ঘোষ জমিদারদের নিদর্শন ও জোড়বাংলা মন্দির,কালিয়ার রাণী রাশমনি এস্টেটের কাচারি বাড়ি, লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের পাশে জোড়বাংলা মন্দির ও লোহাগড়ার রাণী রাশমনির কাচারি ও দোলমঞ্চ দিঘী। পর্যায়ক্রমে এসব পুরাকীর্তি সংস্কার ও সংরক্ষণ করা হবে।