1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

পিরোজপুর এলজিইডি’র কর্মকর্তা যখন ঠিকাদার : তার লাইন্সেস পেল কোটি টাকার কাজ

তৌহিদুল ইসলাম জিসান, নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৮০ জন নিউজটি পড়েছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র পিরোজপুর জেলা কর্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আইআরআইডিপি প্রকল্পের প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকার একটি রাস্তার কাজ পায় ‘রায় কনস্ট্রাকশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

রায় কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সটির প্রোপ্রাইটর ঘাটলে দেখা যায় এলজিইডি’র কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি দাসের স্ত্রী রিনা রানী মন্ডলের নাম এবং লাইসেন্সটির প্রোপ্রাইটরে যে মোবাইল নাম্বারটি দেওয়া হয়েছে সেটি মৃণাল কান্তির নিজেরই নাম্বার। শুধু তাই নয় এ কাজের টেন্ডারের লটারী নিয়েও রয়েছে এলজিইডি’র পেশাদার ঠিকাদারদের বিভিন্ন অভিযোগ। তেমনই একজন পরিচিত ঠিকাদার মোঃ আব্দুল আলিম জানান, গত ১২ ই সেপ্টেম্বর দুপুরে এলজিইডি’র জেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে টেন্ডারের লটারী হয়। যা আমরা কেউ জানিনা বা কোনো ঠিকাদার উপস্থিত ছিলো না। একজন সহকারী প্রকৌশলী তার অফিসে কোনো ঠিকাদারের উপস্থিতি ছাড়াই লটারী করেছেন এবং সেই সময় উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসও উপস্থিত ছিলেন। তাহলে তো এখানে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে টেন্ডারে অনিয়ম হয়েছে। পিরোজপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী একজন দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা। তার আমলেই যতসব দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে। এলজিইডি’র কার্যালয় ঘিরে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

ঠিকাদার মোঃ মুরাদ বলেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তারের কাছে আমরা ঠিকাদাররা অসহায়। তিনি যত অনিয়মের মূল হোতা। এলজিইডিতে চাকুরি করে এমন কর্মকর্তা কিভাবে ঠিকাদারী লাইসেন্স করলো এবং সে কোটি টাকার কাজ পেল। নিশ্চয় এখানে নির্বাহী প্রকৌশলীর হাত আছে। আমরা এই আইআরআইডিপি প্রকল্পের টেহুারটি বাতিল করে নতুন ভাবে করার দাবি জানাচ্ছি এবং এই দুর্নীতিগ্রস্থ প্রকৌশলীর পদত্যাগ ও বদলী দাবি করছি।

এদিকে সরকারি কর্মকর্তা ঠিকাদারী কাজ পাওয়ার বিষয়ে এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী ফজলে রাব্বি জানান, টেন্ডারের লটারীতে কোনো অনিয়ম হয়নি। লটারীর সময় আমরা ঠিকাদারদের ডাকছিলাম,তারা কেউ আসেনি।

আর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার এবিষয়ে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঠিকাদারী লাইসেন্স তা আমার জানা নেই। যদি এমনটা হয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো।

তিনি আরো বলেন, কর্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মৃণাল কান্তি দাসের চাকুরীর বয়স প্রায় শেষ। তার এবছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকুরীর মেয়াদ আছে। যদি আইআরআইডিপি প্রকল্পের কাজ পেয়ে থাকে সেটি আমরা তদন্ত করে টেন্ডার বালিত করবো। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি কোনো ঠিকাদারী কাজের সাথে যুক্ত হতে পারবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION