নড়াইলের কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদী আল মামুন ও ভিকটিম মিজান শেখের বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আজিজুর শিকদারের ছেলে মতিয়ার, আশিকুর ও জিহাদ শিকদারসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
সোমবার ( ২৭ নভেম্বর) দুপুরে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় আল মামুনের পিতা হান্নান মোল্যাকে শারীরীক ভাবে হেনস্থা করে তারা। ভিকটিম মিজার শেখ ২ নং পুরুলিয়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ও প্যানেল চেয়াম্যান ফজিলা বেগমের স্বামী। মহিলা সদস্য ফজিলা বেগম জানান, গত ৬মাস আগে প্রতিপক্ষের আজিজুর শিকদার এর লোকজন আমার স্বামী মিজানুর শেককে কুপিয়ে গুরত্বর জখম করলে আমার ভাগ্নে আল মামুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আজিজুর শিকদারের ছেলেরাসহ তাদের লোকজন বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। তাদের ভয়ে পার্শ্ববর্তী সিংহাশোলপুর গ্রামের তারা বসবাস করছেন, তবুও সেখানে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুরে আজিজুর শিকদারে ছেলেরা সহ একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে সাজ্জাদ শেখ, হানেফ শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখ, জমির শিকদারের ছেলে শাহীন শিকদার, শওকত শিকদারের ছেলে সিজান শিকদার, ইসকান্দার শেখের ছেলে রওশন শেখ, বনি শেখের ছেলে রাহুল শেখ ও নুর মিয়ার ছেলে রমজান শেখসহ ২০/২৫জন অতর্কিত হামলা করে বাড়ীঘর ভাংচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
বাদী আল মামুনের বাবা হান্নান মোল্যা জানান, ওই দিন দুপুরে জোহরের নামাজ পড়ে বাড়ী আসতেই আশিকুর ও সাদ্দাম আমাদের বকা দিয়ে ধরে নেওয়ার কথা বলে শারীরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। অতঃপর ঘরের তালা ভেঙ্গে তিনটি ঘর ও মালামাল কুপিয়ে ও ভেঙ্গে তচনছ করে এবং এদিয়ে মামালা বা অভিযোগ করলে আবারও ভাংবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিউলি বেগমসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, সোমবার দুপুরে আজিজুর শিকদারের ছেলেরাসহ ২০/২৫ এসে মহিলা মেম্বারের বাড়ী এবং মামলার বাদী ও তার ভাগ্নে আল মামুনের বাড়ীঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে চলে যায়।
এ বিষয়ে আজিজুর শিকদারের বাড়ীতে গেলে তার ছেলেরা বাড়ীতে নেই এবং ভাংচুরের ঘটনায় তার ছেলেরা জড়িত নেই বলে জানান। অপর অভিযুক্ত বুলু শিকদারের কাছে বাড়িঘর ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমরা ভাংচুর করিনি।