1. nabadhara@gmail.com : Nabadhara : Nabadhara ADMIN
  2. bayzidnews@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  3. bayzid.bd255@gmail.com : Bayzid Saad : Bayzid Saad
  4. mehadi.news@gmail.com : MEHADI HASAN : MEHADI HASAN
  5. jmitsolution24@gmail.com : support :
  6. mejbasupto@gmail.com : Mejba Rahman : Mejba Rahman
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৮:১৭ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ৫৮ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা অনিশ্চিত

জেলা প্রতিনিধি,গোপালগঞ্জ
  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ১ জুন, ২০২২
  • ১০২২ জন নিউজটি পড়েছেন।

গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৫৮ জন শিক্ষার্থী অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারছে না। ফলে তাদের লেখাপড়ার ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে ওইসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রেসক্লাব, গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওইসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সারা হাচিনের পিতা মো. শহিদুল ইলাম খান।

এর আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেন । এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড বহন করতে দেখা যায় ।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২২ সালে শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেনীতে ৫৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। ছয় মাস ক্লাস করার পর ২ জুন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার ফি’র টাকা জমা দিতে গেলে কর্তৃপক্ষ তাদের ফির টাকা গ্রহন না করে তাদেরকে বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করে। পরীক্ষায় অংশগ্রহন ও বিদ্যালয়ে যেতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তারা।
অপরদিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেন, ভর্তি রেজিস্ট্রারে নাম না ওঠা ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদেরকে পরীক্ষার অংশ গ্রহন করা থেকে বিরত রাখা ও বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা হয়। অথচ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি কমিটির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়াই তাদেরকে ভর্তি করে। ছয় মাস পাঠ দান করার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ তালবাহানা শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, কোভিড অতিমারির কারনে পর পর দুই বছর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরিবর্তে লটারীর মাধ্যমে সরকারি ও বে-সরকারি বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে আসছে। ওই সময় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অপেক্ষামান তালিকা থেকে ১৩ জন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে ৭ম শ্রেণীতে ১৮ জন, ৮ম শ্রেণেিত ১৬ জন ও ৯ম শ্রেনীতে ১১ শিক্ষার্থী ওই বিদ্যালয় ভর্তি হয় । বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সন্তানদের ভর্তি আবেদন ফরম প্রদান করে। আমরা তা পূরণ করে সরকারের আনুসঙ্গিকসহ নির্ধারিত ভর্তি ফি বাবদ ওই বিদ্যালয়ের হিসাব নং- সিএ-৩৩০০১৯৯৬-র অনুকুলে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ডিসি কমপ্লেক্স শাখা, ১হাজার ৮৫৫ টাকা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জমা দিলে আমাদেরকে রশীদ প্রদান করে।

এরপর, জানুয়ারি’ ২০২২ সাল হতে অদ্যবদি আমাদের সন্তানরা নিয়মিত ক্লাস করে আসছে। এরমধ্যে বিদ্যালয় থেকে তাদের স্কুল ড্রেসের কাপড় ও বোর্ডের বই সরবরাহ করে। অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহন এবং যোগ্যতানুযায়ি ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষন, গান ও চিত্রাঙ্কণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নাম সংগ্রহ করে।

গত ৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হুমায়রা আক্তার আকস্মিকভাবে বদলী হয়ে যান। তিনি ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনুমোদন করেন। এরই মধ্যে নতুন অধ্যক্ষ শাহানাজ্ রেজা এ্যানি নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদানের পর ওই শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ছাত্রী ভর্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে এবং ২ জুন ২০২২ থেকে বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়।এ ব্যাপারে আমরা বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করলে আমাদেরকে জানানো হয় সাবেক অধ্যক্ষ ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ১৩ শিক্ষার্থীসহ ৫৮ জনের ভর্তি রেজিস্ট্রাওে নাম তুলে না যাওয়ায় এ জটিলটার সৃষ্টি হয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা তাদের পরীক্ষার ফি গ্রহন করছি না।

ভুক্তভোগী সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষাক্ষার্থী সারিকা সাহেদ রেজার মা জাকিয়া রশীদ ইলা বলেন, বছরের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেছে, এখন আমার সন্তানকে কোথায় নিয়ে ভর্তি করবো । এই বিদ্যারয়ের সিলেবাস অনুযায়ি সে লেখাপড়া করেছে এবং এই বিদ্যালয়ে তার সহপাঠিদের সাথে মেলামেশা করেছে । শিক্ষকেরা তাকে বিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করলে সে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এবং লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে । যদি তখন ভর্তি কমিটি আমার সন্তানকে ভর্তি না করতো তাহলে আমরা অন্যত্রে ভর্তি করতাম । ভর্তির সময় ভর্তি কমিটি ও অধ্যক্ষের অনুমোদন ছিলো । এখন কেন তাদের বাদ দেওয়া হচ্ছে ?

৬ষ্ঠ শ্রেণীর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হুমায়ারা কবীর আয়েশা বলেন, আমাদেও ভর্তি পরিক্ষা হয়নি লটারীর মাধ্যমে আমি এই বিদ্যালয়ে অপেক্ষমান তালিকার ছিলাম । বিদ্যালয়ে আবেদন করলে আমাকে ভর্তি করে নেয় । আমার কয়েক জন সহপাঠি তারা অপেক্ষমান তালিকায় না থেকেও পরিক্ষা দিতে পারছে । তাহলে আমি কেন পারবো না ?

অধ্যক্ষ শাহানাজ্ রেজা এ্যানি বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি । সাবেক অধ্যক্ষ ভর্তি রেজিষ্টারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নাম লিপিবদ্ধ করে যাননি। এখানে আমি শিক্ষার্থীদের কোন ত্রুটি দেখছিনা । ভর্তি কমিটি এই দ্বায় এড়াতে পারেনা । আমাকে জেলা প্রশাসক এবিষয়ে কোন কথা বলতে নিষেধ করেছে । যদি কিছু জানার থাকে তার কাছ থেকে জানতে পারবেন ।

সাবেক অধ্যক্ষ হুমায়ারা আক্তার বলেন, ৫৮ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক । আমি টাকা নিতে নিষেধ করলেও কতিপয় শিক্ষক ও কর্মচারির যোগসাযোসে এই কাজ হয়েছে । আমি এবিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম বদলি জনিত কারনে বিষয়টি নিয়ে আর এগোতে পারিনি ।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন , যে ৫৮ শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিলের কথা বলা হচ্ছে তারা এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীই নয় । বিদ্যালয়ে তাদের কোন কাগজপত্র জমা নেই হাজিরা খাতায় নাম নেই । তারা অবৈধ ভাবে বিদ্যালয়ে ক্লাস করছিলো । এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে জানানো হয়েছে । তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved সর্বস্বত্বঃ দেশ হাসান
Design & Developed By : JM IT SOLUTION