স্বরূপকাঠি উপজেলার ৩ টি ইউপির ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রয়ের কথা জানেনা উপজেলা পরিষদ।স্কুল চারটি হলো বলদিয়া ইউপির ৫ নং কাটাপিটানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬ নং বিন্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সোহাগদল ইউপির১৬৪ নং হাজি বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সমুদয়কাঠি ইউপির ৮৭ নং মৈশানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।এ চারটি বিদ্যালয়ের মেহগনি, তাল, কড়ই ও রেইনট্রি সহ মোট ২৬টি গাছ বিক্রয় করা হয় ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৯০০ টাকা। উম্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে এসব কাঠ বিক্রয়ের কথা থাকলেও সঠিক প্রক্রিয়া না মেনে এসব স্কুলের গাছ বিক্রয়ের অভিযোগ করেছেন একাধিক স্কুলের শিক্ষক।
এমনকি খোদ উপজেলা পরিষদের তিন জন জনপ্রতিনিধিও একই অভিযোগ করেন।একটি স্কুল বাদে তিনটি স্কুলের শিক্ষকরাই অভিযোগ করে বলেন যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডার হলে গাছগুলোর দাম আরও অনেক বেশি হতো।
এ ব্যাপারে স্বরূপকাঠি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি এবং উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারগিস জাহান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে কোনো ধরনের কাজের ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ তদারকির কথা বলা রয়েছে আইনে।
তিনি বলেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০০৯ সনের ১/৯৮/৫৯৭ নং প্রজ্ঞাপনের ৬ নং ক্রমিকের ছ নম্বর উপক্রমিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলিতে বলা আছে,উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের উন্নয়নকল্পে বিদ্যালয় পুনঃনির্মান ও মেরামতের জন্য অগ্রাধিকার তালিকা প্রনয়ন করতে অবশ্যই উপজেলা পরিষদ থেকে রেজুলেশন করা হবে।
কিন্ত এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল খাত থেকে অর্থ তছরুপের জন্য উপজেলা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত টিও ইউসুফ আলী।গাছ বিক্রয় করা ৪টি স্কুলের পরিচালনা কমিটির একাধিক ব্যাক্তি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কাছে আমরা অসহায়।তারা যা বলবে সেটাই আমাদের করতে হয়।এছারা আবার রয়েছে এলাকার রাজনৈতিক চাপ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি এবং স্বরূপকাঠি উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান রনী দত্য বলেন, শিক্ষা অফিস প্রতিমাসে শিক্ষকদের নিয়ে একটা সভা আয়োজনের কথা রয়েছে। সেখানে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সমস্যা এবং তা সমাধান কল্পে উপজেলা পরিষদের কর্তা ব্যাক্তিরা মতামত দিবেন এবং তা বাস্তবায়ন করবেন। তিনি বলেন স্বরূপকাঠিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কোনো মিটিং হয়না। এ কারনে এ অফিসের সকল অনৈতিক কাজই বৈধতা পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলদিয়া ইউপির এক শিক্ষক বলেন এ ইউপিতে দুটো স্কুলের গাছ বিক্রি হয়েছে। শিক্ষা অফিস ও রাজনৈতিক প্রভাব না থাকলে গাছের মুল্য আরো ৫০/৬০ হাজার টাকা বেশি হতো।যা স্কুলের উন্নয়নে ব্যয় হতো এবং সরকারি বরাদ্ধের উপর চাপ কমতো।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং স্বরূপকাঠি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হক বলেন স্কুলের গাছ বিক্রি হওয়ার কথা আমি কিছুই জানিনা।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও ইউসুফ আলীর ০১৭১৮৩৬৫৫০৪ নম্বরে বার বার ফোন দিলেও কেহ রিসিভ করেননি