মোঃ জিহাদুল ইসলাম, কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি:
নড়াইলের কালিয়ায় মাউলী ইউনিয়নের মহাজন উত্তর পাড়ায় দুবৃত্তদের দেওয়া আগুনে অমিত বিশ্বাস বসতঘর পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন কালিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জহরুল ইসলাম। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। ২১ মার্চ (রোববার) ভোর রাতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
অমিত দাশ ওই গ্রামের মৃত রতন বিশ্বাসের ছেলে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২১ মার্চ (রবিবার) ভোর রাতে অমিত বিশ্বাসের প্রতিবেশী নিমাই বিশ্বাসের ছেলের জন্মদিন পালন শেষে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। অনুমান রাত তিন টার দিকে অমিত প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা ৪/৫ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে পিছন থেকে ধরে হাত, পা ও মুখ বেঁধে কিল ঘুষি মেরে ঘরের বারান্দা ফেলে দাহ্য পদার্থ ঢেলে ঘরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোয়ায় আচ্ছন্ন হলে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিন্তু ততক্ষনে অমিতের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অমিত বিশ্বাস বলেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হলে ৪/৫ জন অজ্ঞাত মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা আমাকে পিছন থেকে ধরে হাত, পা ও মুখ বেঁধে কিল ঘুষি মেরে ঘরের বারান্দা ফেলে দাহ্য পদার্থ ঢেলে ঘরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। অমিত বিশ্বাস আরো বলেন, আমি কারো এমন কোন ক্ষতি করিনি যে আমার এমন ক্ষতি করবে। আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় দাড়াবো? প্রতিবেশী মদন বিশ্বাস, বিপ্লব বিশ্বাসসহ অনেকে বলেন, রাত ৩টার দিকে চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে এসে দেখি আগুন দাওদাও করে জ্বলছে। পরে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি।
অমিতের স্ত্রী মল্লিকা বিশ্বাস বলেন, আমি ১০ দিন আগে বাপের বাড়ী বেড়াতে গিয়েছি। আজ ফোন পেয়ে বাড়ীতে এসে দেখি আমার সর্বস্ব শেষ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মাউলী ইউনিয়নের পুজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তুষার বৈদ্ধ বলেন, আমাদের মহাজন গ্রামে এমন অনাকাংখিত ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেনি। তবে যে দুবৃত্তরা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) জহরুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা যে বা যাহারা ঘটিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের খুঁজে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। সেই সাথে সরকারি ভাবে তাদের সাহায্যর জন্য ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোসাঃ রোকসানা খাতুন বলেন , আগুন দেয়ার খবর শুনে আমি ঘটনা স্থলে ওসি তদন্তকে পাঠিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।