রাকিব চৌধুরী, নবধারা প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া থেকে বরইভিটা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এমন অকেজো রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাজারো মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০২০ সালের মার্চে কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ হয়নি এখনও।
বাঁশবাড়িয়া ব্রিজের মোড় থেকে তারাইল বাজার বরইভিটা হয়ে কোটালীপাড়া আসার একমাত্র রাস্তাটির অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। প্রায় প্রতিদিনই এসব গর্তে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তাদিয়ে নিয়মিত আশেপাশের দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করেন। তারাও হচ্ছেন দুর্ভোগের শিকার।
চরগোপালপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন শেখ বলেন, টুঙ্গিপাড়ার এসব রাস্তা দেখে মনে হয়, “এখনও আমরা আদিযুগে বসবাস করছি। যে যুগে রাস্তা-ঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না। আমি মনে করি একটি দেশের রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ছাড়া সামগ্রিক উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”
নাজমুল ইসলাম বলেন, “২ বছর আগে এই রাস্তার কাজ শুরু হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি যেন মরণফাঁদ। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের যানবাহন উল্টে পড়ে যায়, রাস্তার কাঁদায় নষ্ট হয় তাদের পোশাক।”
ভৈরবনগর এলাকার স্কুলছাত্র আনন্দ বলেন, “আমাদের রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ধূলাবালিতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। আর বৃষ্টিতে রাস্তা ভিজে গেলে তো হাঁটার উপায়ই থাকে না”
ডুমুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির তালুকদার নবধারা কে বলেন, “একজন চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সব সময় আমার এলাকাকে আধুনিকায়ন করা চেষ্টা করেছি। কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়ন, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ অন্যান্য বড় ধরনের উন্নয়ন করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এই উন্নয়নগুলো সরকার ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সার্বিক সহযোগিতা নিয়েই করা সম্ভব।”
তিনি আরো বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ও উপজেলা সহযোগিতা নিয়ে রাস্তার যেসব স্থানের অবস্থা খুবই বেহাল, সেই অংশগুলোতে আপাতত চলাচলের জন্য সংস্কার কাজ শুরু করেছি। আশা রাখি, এরপর পথচারী ও স্থানীয়রা স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবেন।”
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রধান প্রকৌশলী মোঃ ফয়সাল হোসেন নবধারা কে জানান, “বিভিন্ন অনৈতিক কাজের জন্য এর আগের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক দুদকের মামলায় জেলে আছেন। আমরাও জানি রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক।
মোঃ ফয়সাল হোসেন বলেন, “অতি দূরত লাইসেন্স বাতিল করে ঠিকাদার চূড়ান্ত হলেই এই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। আমি আশা রাখি, কোনও বাধা না এলে আগামী এক বছরের মধ্যে রাস্তার সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন গ্রামবাসী চলাচলে আর সমস্যা হবে না।”
নবধারা/বিএস