নবধারা ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন,গত ১৭ বছরে আমাদের দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ছিল না। একজন রাজনীতিবিদ তার মতাদর্শ অনুযায়ী যেকোনো দল করতে পারেন। টুঙ্গিপাড়ায় অনেক বড় বড় আওয়ামী লীগের নেতারা আমার সাথে ঈদের সময় কথা বলতে চেয়েছেন,আমি তাদের সাথে কথা বলেছি, অনেকেই আমাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েছেন, ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং আমিও তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। টুঙ্গিপাড়ার যে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন জেলে রয়েছেন তাদের জন্য আমার সহ মর্মিতা একসাথে ঈদের নামাজ পড়তে ভালো লাগতো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,খুবই দ্রুত টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির কাউন্সেলিং হবে সেখানে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন হবে।কেউ যদি মনে করেন বিএনপি দল করলে অনেক টাকার মালিক হবেন এটা ভুল ধারণা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ইতিমধ্যেই কোটালীপাড়ায় ১১টি ইউনিয়নে জাঁকজমকভাবে কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমি কিছুদিনের মধ্যে দেশের বাইরে যাব,দেশের বাইরে থেকে এসে এই মাসেই টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির সম্মেলন হয়ে যাবে এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে। সেই সাথে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে গোপালগঞ্জ জেলা আলাদা কোন দ্বীপ নয়।এই জেলাকে নিজেদের মনে করে এখানে হটকারী সিদ্ধান্ত নেন সেই দায় আপনাদের।আমি দেখেছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান সেই সময়ের গোপালগঞ্জের কিছু দুস্কৃতিকারী মিথ্যা বানোয়াট বিভ্রান্তকারী তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের আবেগের জায়গা আঘাত করে বিপথগামী করেছেন। দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে গোপালগঞ্জে মহড়া তৈরি করা হয়েছিল। গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, সেই সাথে ১৩ ই সেপ্টেম্বর আমি যখন আমার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে আসি তখন আমার উপর হামলা করা হয়,আমার সহকর্মী দিদার কে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা যদি না ঘটতো তাহলে গোপালগঞ্জে কোন মামলা হতো না।
কয়েকদিন আগে টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের উপর হামলা করা হয় এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, এ ঘটনা টুঙ্গিপাড়ায় না ঘটলে টুঙ্গিপাড়ায় কোন মামলা হতো না টুঙ্গিপাড়ার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারত,এ দায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের।গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা আমার কারণে বলে ঈদ করতে পারেনি,এটা তাদের দায়।যে কাজ রাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিল এবং রাষ্ট্র তার ব্যবস্থা করেছেন।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে এবং আগামীতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনও তাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে। তারেক রহমান সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল যে ৩১ দফা দিয়েছেন তা যদি বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে বাংলাদেশে হবে একটি চাঁদা মুক্ত দেশ, বৈষম্যহীন দেশ। ১৭ বছর ধরে বিএনপি মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছেন। আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান বলেছেন আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি না মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আন্দোলন করেছি।
ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে সাংবাদিকদের মধ্যে, টুঙ্গিপাড়ার সিনিয়র সাংবাদিক নবধারার সম্পাদক মেহেদী হাসান, ভোরের ডাকের ইমরান শেখ, আজকের পত্রিকার সজল সরকার, এশিয়ান টেলিভিশনের হাফিজুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সফিক শিমুল, নবধারার বিশেষ প্রতিবেদক রাকিব চৌধুরী, দৈনিক আমার সংবাদের বিপুল শেখসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।