গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় আগামী ৩০ তারিখ নির্বাচন উপলক্ষে ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী মোট ৩৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কাউন্সিলর মোট ২৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ জন প্রার্থী বিদ্যালয়ে ই না গিয়ে নিজেকে হলফনামায় স্বশিক্ষিত বলে দাবি করেছেন। তাছাড়া ২ জন বিএ, এইচএসসি ২ জন এসএসসি ২ জন, ৫ জন ৮ ম শ্রেনী পাশ এবং ১ জন ডিপ্লোমা করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন।
ইতিমধ্যে এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে শেখ টুটুলের বেশির ভাগ কাউন্সিলর প্রার্থী ই স্কুলেই যান নি। এমন কাউন্সিলরদের নিয়েই আগামী ৫ বছর হেভিওয়েট এ পৌরসভায় তাকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে।
১ নং ওয়ার্ডঃ ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ গাউচ শেখ কেবলমাত্র অক্ষর চেনেন এছাড়া এস এম জাকির হোসেন ও লুৎফর রহমান নিজেকে ৮ম শ্রেনী পাশ বলে দাবি করেছেন। এ ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেন শেখ ঢাকার অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিবিএ পাশ করেছেন।
২ নং ওয়ার্ডঃ ২ নং ওয়ার্ডের ২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এর মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর কাজী দেলোয়ার হোসেন স্বশিক্ষিত এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক কাউন্সিলর লিটন হোসেন এস এস সি পাশ করেছেন।
৩ নং ওয়ার্ডঃ এ ওয়ার্ডের অবস্থা ভীষণ খারাপ। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বেল্লাল মোল্লা স্বশিক্ষিত লিখেছেন তার হলফনামায়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক কাউন্সিলর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেস ক্লাব একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মইনুল ইসলাম অপু কেবলমাত্র অক্ষর চেনেন বলে হলফনামায় তিনি তথ্য দিয়েছেন।
৪ নং ওয়ার্ডঃ এ ওয়ার্ডে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল ইসলাম শুধু স্বাক্ষর করতে জানেন। আরেক প্রার্থী কাজী আরিফুজ্জামান স্বশিক্ষিত বলে হলফনামায় তথ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে প্রেসক্লাবের আরেক অংশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এইচএসসি পাস বলে জানিয়েছেন।
৫ নং ওয়ার্ডঃ এ ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী হয়েছেন। তারমধ্যে সাবেক কাউন্সিলর কাজী ফখরুল স্বশিক্ষিত। তবে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিএ পাস করেছেন বলে হলফনামায় তথ্য দিয়েছেন।
৬ নং ওয়ার্ডঃ এ ওয়ার্ডে ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর কাজী বাহাউদ্দিন ৮ম শ্রেনী পাস। এ ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থী শ্রমিক নেতা মোঃ ফায়েক শেখ স্বশিক্ষিত তবে অন্য প্রার্থী তারিফুল ইসলাম এসএসসি পাস করার পরে মেডিক্যাল টেকনোলজি ডেন্টালের উপরে ডিপ্লোমা পাস করছেন।
৭ নং ওয়ার্ডঃ এই ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী হয়েছেন। এরমধ্যে মোঃ চান মিয়া শেখ স্কুলে না গিয়ে নিজেই শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি নিজেকে হলফনামায় স্বশিক্ষিত বলে দাবি করেছেন। অন্য দুই প্রার্থী মোঃ জালাল শেখ এবং হাফিজুর বিশ্বাসও স্বশিক্ষিত। তবে এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শেখ হাবিবুল বশার লিপু বিদ্যালয়ে না গেলেও আরবী লাইনে তথা হাফেজী পড়েছেন।
৮ নং ওয়ার্ডঃ এ ওয়ার্ডের ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে কেউই স্কুলে যান নি। মোঃ কেরামত আলী মোল্লা হলফনামায় নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে তথ্য দিয়েছেন। এম, এ, মালেকও স্বশিক্ষিত। অপর প্রার্থী পাটগাতী বাজার বণিক সমিতির সহ সভাপতি গোবিন্দ সাহা ও স্বশিক্ষিত।
৯ নং ওয়ার্ডঃ এ ওয়ার্ডের প্রার্থী মোঃ নাসির শেখ স্বশিক্ষিত। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম এস এসসি পাশ করেছেন। তবে একমাত্র মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়ে যাওয়া প্রার্থী সৈয়দ আল আমিনও স্বশিক্ষিত।
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী কুলসুম খানম এইচএসসি পাশ করেছেন। শাহানা বেগম স্বশিক্ষিত, ফাতিমা জিন্নাহ ও আসমা আক্তার শিল্পী ৮ম শ্রেনী পাস করেছেন। এছাড়া সাবিনা আক্তার, পারভিন বেগম, রচনা বেগম, নাবিলা আক্তার, কোহিনুর, পাপিয়া বেগম স্কুলে যান নি। তারা হলফনামায় নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে তথ্য দিয়েছেন।