শরিফুল ইসলাম ও জিহাদুল ইসলাম কালিয়া থেকে ফিরেঃ
নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনের একদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান।
শুক্রবার বেলা ১১টায় কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহমান বলেন, ”৩০ জানুয়ারী কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আমি চামচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে নির্বাচিত হতাম। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং নড়াইল-১ আসনেরসাংসদ কবিরুল হক মুক্তির নির্দেশে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলাম। আমার কালিয়া পৌরসভার প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি আজীবন আপনাদের সেবক হিসেবে পাশে থাকবো।”
সংবাদ সম্মেলনে নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য বি এম কবিরুলহক মুক্তি বলেন, ”বিগত ৪৩ বছর আমরা কালিয়া পৌরবাসীর সেবা করে আসছি। আমি এক সময়ে কালিয়া পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। এই জনপদে তিন বার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমার পূর্বপুরুষেরা জীবনকে বাজি রেখেছেন। ১৯৮৫ সালের ১১জুন আমার বড় ভাই সহ আমার বাবা নির্মম ভাবে খুন হন। আওয়ামীলীগ আমাদের রক্তের সাথে মিশে আছে। আমাদের আস্থার বাতিঘর বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ফকির মুশফিকুর রহমানকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে এবং আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করবার জন্য। আজকে আমার সন্তানকে আমি কুরবানী করে যাচ্ছি, শুধুমাত্র আমার নেত্রীর নির্দেশের কারণে, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার কারণে। কোন দানবীয় শক্তি, কোন অপশক্তির ভয়ে নত হয়ে নয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও দলের প্রতি আনুগত্যোর কারনেই আজকে ফকির মুশফিকুর রহমান নৌকা মার্কার প্রার্থীকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র বি এম একরামুল হক টুকু, সাবেক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট বি এম এমদাদুল হক টুলু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমদাদুল হক সহ উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে লিটনের সরে দাড়ানোর কারনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা জয় লাভের ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী রয়েছেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর শাহনাজ পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এই পৌরসভায় ভোটার রয়েছে ১৬ হাজার ৩শ ৮৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১শ ৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৮হাজার ২শ ৩৬ জন। ৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ব্যাপক সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নবধারা/বিএস