অভিজিৎ কে সাহা, ঢাকা হতেঃ
দীপঙ্কর গৌতম। অন্তজ জনের অন্তরের মানুষ গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায় ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনের নিভৃতচারী এই লেখক, সাংবাদিক, গবেষকের জন্ম। নানান পরিচয়ের দীপঙ্কর গৌতম কবি হিসেবেই অত্যধিক প্রিয়।
পাঠন, পঠন ও পাঠদানে তার জুরিমেলা ভার। পারিবারিক ভাবেই পড়ার অভ্যাস তার। অতি অল্প বয়সেই তিনি আয়ত্ব করেন মাইকেল মধুসূদন দত্তকে। “তাফসীরে মেঘনাদ বধ” কাব্য তার প্রমাণ। বাংলা সাহিত্যের আরেক দিকপাল নিভৃতচারী সংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত রচনাবলী সম্পাদনা করে তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি অনবদ্য অবদান রেখেছেন।
তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ থেজে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে সাংবাদিকতা পেশায় আত্ম নিয়েগ করে বিবিসি বাংলা, দ্য ওয়েভ সহ নানান গণমাধ্যমে তার কলম দোয়াতের ছোঁয়া দিয়েছেন।
অন্তজ জনের দীপঙ্কর গৌতম সম্পর্কে বলতে গেলে যে লেখা টি প্রথম চোখে পড়বে তা হলো “আদিবাসী গণসংগ্রাম” আর দ্বিতীয়টি “শখের মানুষ পেশার মানুষ”। এছাড়াও ২০০১ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে নানান পত্রিকায় অদ্যসকাল অবধি লিখে চলেছেন । দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক, যুগান্তর সহ বিভিন্ন পত্রিকার এই সাংবাদিক রাইজিং বিডি. কম এ ও তার হাতের অনবদ্য ছাপ রেখেছেন। তার প্রায় অর্ধশত লেখা প্রকাশিত হয় রাইজিংবিডি থেকে। তিনি রাইজিংবিডি বর্ষসেরা পুরস্কারেও ভূষিত হন। তবে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত “পথের পদাবলী” দেশ নন্দিত লেখায় পরিণত হয়। “পাঁচালি সংগ্রহ” ও “গণসঙ্গীত সংগ্রহ “তার গবেষণার অনন্য নিদর্শন।
মার্ক্সীয় ভাবাদর্শে প্রতিস্ফুটিত রাজপথের এই লড়াকু সৈনিক ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির মধ্যদিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করে সংস্পর্শে আসেন কমরেড জসিম মন্ডল, সন্তোষ গুপ্ত সহ অনেল মনীষীর। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদ গঠনে এবং উৎকর্ষতা সাধনে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন। “শোন ভাডি আমাগে সুময় মঞ্চে শিল্পিগের জায়গা দিতি পারতাম না”, পরবর্তী সময়ের তিনি কেন্দীয় উদীচীর নেতা হয়ে, বর্তমানের বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন, সংবাদিক হিসেবে কর্মরত আছেন দৈনিক মানবকণ্ঠ পত্রিকায়। মার্ক্সের নন্দন তত্ব এর উপর তার বক্তব্য সম্মোহনীয়।
কাজ পাগল, আড্ডা প্রিয় এই গুণী মানুষটির সাথে আমার পরিচিয় ২০১৭ সালে। উদীচী গোপালগঞ্জ এর সম্মেলনে তারপর থেকে আজ আমি তার ছোট ভাই। হওয়ার চিন্তা ছিল শিষ্য কিন্তু তার নিজ গুণে তিনি যেমনি ভাবে সবাই কে আপন করে নেন তেমনি আমাকেও নিয়েছেন।
শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
“হাত দিয়ে বলো সূর্য্যের আলো রুখতে পারে কি কেউ ”
আপনাকেও রুখে দেয়া যাবে না। এই বেগে চলতে থাকুন।
নবধারা/বিএস