নড়াইলে সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম গ্রামে এক সন্তানের জননী রুমা আক্তার (২৮) নামে গৃহবধুর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসী স্বামীর পাঠানো টাকা শ্বশুর-দেবরকে দিতে না চাওয়ায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে রুমাকে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে ঘরে আটকে রেখে ছিল। অভিযোগ করেছে নির্যাতিতা ও তার স্বজনরা । বর্তমানে ওই গৃহবধু নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এলাকাবাসীর সহায়তায় গুরুত্বর আহত রুমা আক্তার কে উদ্ধার করে তার স্বজনরা শুক্রবার (৫মে) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। রুমা আক্তারের স্বামী সবুজ শেখ তার স্ত্রীর নিকট টাকা পাঠালে সবুজের বাবা কুদ্দুস শেখ, ভাই রোমান, বোন ববিতা রুমার নিকট প্রায়ই টাকা দাবি করে। তাদের দাবির মুখে প্রাবসী স্বামীর নিষেধ সত্বেও রুমা শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে বিভিন্ন সময় টাকা দিতে বাধ্য হয়, কিন্তু রুমার শ্বশুর দেবরের টাকা চাওয়ার সীমা ছিল না। ৪মে রুমার কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিতে না পারায় রুমার উপর শুরু হয় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। দেবর, শ্বশুর, ননদ, জা সবাই একযোগে রুমার উপর চড়াও হয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলে তাকে নির্মমভাবে পায়ে পিশতে থাকে। এতে রুমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে চিকিৎসা না করিয়ে তাকে ঘরে আটকে রাখছিল। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী রুমাকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে পৌছে দিলে স্বজনরা রুমাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডাঃ আনিসুর রহমান সোহাগ বলেন, নির্যাতিতাকে অর্ধ অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। রোগীর শারীরিক ও মানষিক অবস্থার প্রেক্ষিতে তার শরীরে আভ্যন্তরীন জখমের আশঙ্কায় কয়েকটি পরিক্ষার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।