গোপালগঞ্জের গোবরায় মাইকিং করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন পরিবারের উপর হামলা, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।গতকাল রাতে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার গোবরা ইউনিয়নে ভাটিয়াপাড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এ নিয়ে এলাকাবাসী চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
জানা যায়,গোবরা ইউনিয়ন পরিষদের অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, নির্বাচনে পরাজিত গোবরা ৭নং ওয়ার্ড এর মেম্বার প্রার্থী জানে আলম মোল্লা এবং তার সহযোগীরা ভাটিয়াপাড়া এলাকার কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর সহ লুটপাট করেন।বাড়িতে থাকা নারীরাও রেহাই পায় নাই হামলার কবল থেকে। আতংকে বাড়ি ছাড়া রয়েছেন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মুন্সীর পরিবারের সদস্যরা ও মুন্সী মৃতঃ আলাউদ্দিনে পরিবার এর সদস্যরা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,জানে আলম মোল্লা ও তার সহযোগী চরগোবার এলাকার কামাল শেখের ছেলে রবি শেখ, বদিয়ার শেখের ছেলে মাহিন, সিরাজ মোল্লার ছেলে সিমির মোল্লা, নুহু শেখের ছেলে কাদের শেখ গং বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মুন্সীর বাড়ীতে ভাংচুর করেন ।ঐ বfড়ির সকল লোকজন জানে আলম ও তার লোকজনের অত্যাচারে পলিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী মৃত মুন্সী আলাউদ্দিন এর বৃদ্ধা স্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকেই ওরা আমাদের উপর বারবার হামলা ও মারধর করছে। আমাদের সন্তানদের যেখানে পাচ্ছে সেখানেই ছলে-ছুতে গোন্ডগোল করছে। আমাদের অপরাধ আমরা অন্য প্রার্থীর নির্বাচন করেছি। ঐ দিন ওরা প্রথমে আমার ভাসুরের ছেলে সাজেদুলকে মোল্লার হাট টোলে সামনে মারধর করে। তারপর ওরা আবার সন্ধ্যার পরে মসজিদের মাইকিং করে দুই-তিন শত লোক জানে আলমের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে ওরা আমার বাড়ির বৌদের মারধর করেছে। আমি সরকারের কাছে এর প্রকৃত বিচার চাই।
এ ব্যপারে বীর মুক্তিযোদ্ধ মুন্সী নুরুল ইসলাম বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মোঃ জানে আলম নির্বাচনের পর থেকে আমার পরিবার ও সমগ্র গ্রামের উপর প্রচন্ড অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।এরা সকলে একত্রিত হয়ে আমার উপর হামলা করেছে আমার বাড়ি-ঘর ভিাংচুর করেছে।ওদের ভয়ে আমার পরিবারের লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।এ ব্যপারে আমি স্থানীয় বিশিষ্ঠ জনেদের বললে, ব্যপারটা সমাধানের জন্য গোবরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল, সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান টুটুল, সাবেক মেয়র রেজাউল হক সিকদার রাজু একত্রিত হয়ে গ্রামের সকলকে ডাক দেয়। জানে আলম মোল্লা ও তার দলবলেরা সালিশি অমান্য করে এখনও আমাদের উপর আত্যাচার করছে।এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ মডেল থানায় একটি আভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, গোলমালের কয়েক ঘন্টা আগেই গোপালগঞ্জ সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসে সরেজমিন তদন্ত করে যান ঘটনার দিন দুপুরে। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপর দূবৃত্তরা সন্ধ্যায় মাইকিং করে হামলা করে।
ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মরর্তা মোঃ আনিচুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হামলা কারীদের একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এলাকাবাসীর ক্ষোভ পুলিশ ভটিয়াপাড়া থেকে ফিরে আশার কয়েকঘন্টা পরেই হামলা হয় এ ব্যপারে জানতে চাইলে ওসি মোঃ আনিচুর রহমান বলেন, আমি ঘোনাপাড়া গিয়েছিলাম ওখান থেকে ভাটিয়া পাড়া এলাকায় গিয়েছিলাম, তখনতো কোন গোলমাল ছিল না। আমার থানাধীন এলাকা আমি কি যেতে পারি না।