গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় আফরোজা বেগম (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গর্ভে থাকা বাচ্চাও মারা যায়। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ক্লিনিক মালিকের লোকজন রোগীর স্বজনদেরকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। নিহত ফরোজা বেগম উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের কালারবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ন খানা বাজারের ইউনাইটেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
নিহত আফরোজা বেগমের মা মনিকা বেগম বলেন, সকালে আমার মেয়েকে এ ক্লিনিকে ভর্তি করি। দুপুরে ডাক্তাররা অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তারা জানায় আমার মেয়ে আফরোজা ও তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে। আমার মেয়ে মারা যায়নি, তাকে ও তার সন্তানকে ডাক্তাররা মেরে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়েকে মেরে ফেলার প্রতিবাদ করায় ওই ক্লিনিকের লোকজন আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।ইউনাইটেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার জাহিদ হোসেন রিন্টু বলেন, সকালে আমাদের এখানে এসে ওই রোগী ভর্তি হয়। এরপর আমরা তাকে স্যালাইন দেই। দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার প্রভাষ মন্ডল ও আমি রোগীটিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাই। এরপর ওই প্রসূতি হার্টএটাক করে মারা যায়।
ডাক্তার প্রভাষ মন্ডল বলেন, অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে আমরা রোগীর চিকিৎসা শুরু করার আগেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক ডাক্তার বলেন, ডাক্তার প্রভাষ মন্ডল এ্যানেসথেসিয়া কোন ডাক্তার না। সে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন মেডিকেল অফিসার। তার ভুলের কারণেই এই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।