কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বাপার্ড) প্রদর্শনী প্লটে ধরেছে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের মারোমাসি তরমুজ। বাপার্ডে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের আওতার সমন্বিত কৃষি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১০ শতাংশ আয়তনের প্রদর্শনী প্লটে পরীক্ষামূলক ভাবে গোল্ডেন ক্রাউন জাতের এ বারোমাসি তরমুজ চাষ করা হয়।
২ মাস পূর্বে জমি প্রস্তুত করে এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ২ মাসেই গাছে ফল আসা শুরু করেছে।
বাপার্ডের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান আজ বুধবার এ প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন । তিনি বাপার্ডের মাধ্যমে এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজ চাষীদের মাঝে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য বাপার্ডের কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
শেখ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বাড়ির আঙ্গিনা, মাছের ঘেরপাড়সহ স্বল্প জায়গায় এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের বারোমাসি তরমুজ চাষ করা সম্ভব। তাই এই জাতের তরমুজ চাষে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা আগামীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
বাপার্ডের কৃষি বিভাগের পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুন্নবী বলেন, গোল্ডেন ক্রাউন জাতের এ তরমুজ সারা বছর চাষ করা যায়। ভিটামিনস, মিনারেলস ও এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুমিষ্ট এবং সুস্বাদু এ তরমুজ চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
বাপার্ডের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ তোজাম্মেল হক নবধারা কে বলেন, বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) হচ্ছে গবেষণা ও প্রশিক্ষণধর্মী একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্ভী করে গড়ে তোলার জন্য বাপার্ড কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বাপার্ডে কৃষি বিভাগ এই গোল্ডেন ক্রাউন জাতের তরমুজের প্রদর্শনী করে সফল হয়েছে। এখন এটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
One thought on "কোটালীপাড়ায় বাপার্ডের প্রদর্শনী প্লটে ধরেছে গোল্ডেন ক্রাউন তরমুজ"