নীলকন্ঠ বাকচী, বিশেষ প্রতিবেদক
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। এরা হচ্ছেন বর্তমান নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান কাজী সোফিদা আক্তার জোনাকী, দুলালী রানী মন্ডল,মিসেস পারুল বেগম,জলি আক্তার বিমা ও পারভিন আক্তার পারুল।
কাজী সোফিদা আক্তার জোনাকী
টুঙ্গিপাড়ার ভোটারদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত মুখ কাজী সোফিদা আক্তার জোনাকী। টুঙ্গিপাড়ার সম্ভ্রান্ত কাজী বাড়িতে জন্ম নেওয়া সোফিদা আক্তার জোনাকী যুব মহিলা আওয়ামী লীগের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সভানেত্রী। স্কুল জীবন থেকেই তিনি রাজনীতির মাঠে রয়েছেন একজন, রাজনীতীতে নিবেদিত প্রাণ। তিনি বর্তমানে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। এ বছর তিনি পুনরায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ থেকে বিএ পাস করেছেন। তার বাৎসরিক আয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বলে তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ব্যাংকে এক লক্ষ টাকা জমা রয়েছে। তার ৪ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে।
দুলালী রানী মন্ডল
দুলালী রানী মন্ডল টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তার জন্ম তারিখ ৮ এপ্রিল ১৯৫৭ সাল।তিনি অষ্টম শ্রেণী পাস। তার নগদ টাকা রয়েছে পঞ্চাশ হাজার। তার সঞ্চয় রয়েছে চার লক্ষ টাকা এবং পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। এবারের ভোটে তিনি মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিসেস পারুল বেগম
মিসেস পারুল বেগমের জন্ম ১ মার্চ ১৯৮৩ সাল। শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেনী পাশ। তিনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তার নগদ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ও ব্যাংকে জমা আছে এক লক্ষ টাকা। তার কাছে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে। তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ ফায়েক শেখের সহধর্মিনী।
জলি আক্তার বিমা
জলি আক্তার বীমা প্রথমবারের মতো উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নেমেছেন। তার জন্ম ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে। তার সম্পদ রয়েছে আট লক্ষ টাকার। তার কাছে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে।তিনি প্রথমবারের মতো উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে নেমেছেন।
পারভীন আক্তার পারুল
পারভিন আক্তার পারুল ১২ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। তার বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। তিনিও প্রথমবারের মতো উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে নেমেছেন।